অননুমোদিত পোল্ট্রি  ফার্মের বর্জ্যে অতিষ্ঠ  এলাকাবাসী

বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই :

মিরসরাইয়ে চরশরৎ গ্রামের অননুমোদিত একটি পোল্ট্রি ফার্মের বর্জের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠহয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।

প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না নিয়ে গড়ে উঠা পোল্ট্রি ফার্মটি উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দাশ পাড়ায় অবস্থিত। যেখানেসেখানে ফার্মের বর্জ্য ও মৃত মুরগী ফেলার কারণে গন্ধে বিগত কয়েক দিন যাবৎ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে প্রায় ৫০টি পরিবার।

জানা গেছে, সরকারি কোন সংস্থার অনুমোদন ছাড়া বিগত ৩-৪ বছর আগে পোল্ট্রি ফার্মটি স্থাপন করেন কনিকা বালা দাশ। গ্রামীণ পরিবেশের বাহিরে পোল্ট্রি ফার্ম করার বিধান থাকলেও কণিকা বালা দাশ ফার্মটি গ্রামের মধ্যে স্থাপন করেন। মুরগীর বর্জ্য ও মৃত মুরগী ধ্বংস করার কোন ব্যবস্থা না করে তা ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। বর্জ্য ও মৃত মুরগীর পঁচা গন্ধে দাশ পাড়া গ্রামে সাধারণ মানুষের বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সারাক্ষণ মুখে কাপড় বেঁধে চলাচল করছে এলাকাবাসী।  এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় আমীনুল হক, সমীর দাশ, উজ্জলা রাণী দাশ, রতন চন্দ্র দাশবলেন, কণিকা বালা দাশ ও তার স্বামী হীরালাল দাশ কয়েক বছর আগে সন্দ্বীপ থেকে এসে আমাদের গ্রামে একটি জমি ক্রয় করেন।

পরবর্তীতে তারা সেখানে আইনের তোয়াক্কা না করে গ্রামের মধ্যে পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করেন। ফার্মের বর্জ্য ও পচা মুরগীর দুর্গন্ধে আমরা বাড়িতে বসবাস করতে পারছি না। দুর্গন্ধের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেও মামলার হুমকি দেয়। এছাড়া সরকারি রাস্তা দখল করে সে পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করে। এতে করে ফার্মের টিনের চালে পানি রাস্তায় পড়ে বর্ষাকালে চলাচল বিঘœ হচ্ছে।

অভিযুক্ত কণিকা বালা দাশ বলেন, সন্দ্বীপে চর ভেঙ্গে আমাদের সব সম্পদ সমুদ্রে বিলীন হয়ে গেলে চরশরৎ গ্রামে একটি জমি ক্রয় করে বসবাস শুরু করে থাকি। স্বামীর কোন কাজ না থাকায় ওই জমিতে পোল্ট্রি ফার্ম দিয়ে পরিবার চালানোর চেষ্টা করি। মুরগী বিক্রির পর সব বর্জ্য একত্র করে দূরে ফেলে দিয়ে আসি। সাময়িক হয়তো দুর্গন্ধ লাগে। তবে সব বর্জ্য শীঘ্রই মাটির নীচে পুঁতে ফলবেন বলে তিনি দাবী করেন।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, কণিকা বালা দাশের পোল্ট্রি ফার্মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে আমরা সরেজমিন তদন্ত করেছি। পোল্ট্রি বর্জ্য ও মৃত মুরগী যত্রতত্র না ফেলার জন্য তাকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি পুনরায় সে এরূপ কাজ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।