হাটহাজারীতে রাতের আঁধারে স্কুল থেকে বিনামূল্যের বই গায়েব

পটিয়া থেকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাটহাজারী »

হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিউনের ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কক্ষে রাখা (বিনামূল্যে বিতরণের বই) রাতের আধারে গায়েব হয়ে গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গায়েব হওয়া বইগুলো পটিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে সুপ্রভাতকে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) শাহাদাত হোসেন। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বুধবার দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম।

এ ব্যাপারেহাটহাজারী মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে একটি ট্রাকে করে প্রায় এক টন বই পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কয়েকজন যুবক। স্থানীয় কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী চ্যালেঞ্জ করলে তারা উপজেলায় নিচ্ছে বলে জানায়। পরে বই বহনকারী ট্রাকটি হাটহাজারীর দিকে না গিয়ে নগরের দিকে যাত্রা করলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্দেহ বেড়ে যায়।

অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমাদের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কক্ষ সংকটের কারণে বইগুলো ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে রাখা হয়েছিল। স্কুলের আসবাবপত্র সরানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে ওই রুমের চাবি নেন প্রধান শিক্ষক। এরপর তিনি আমাকে আর চাবি ফেরত দেননি।

তিনি আরও বলেন, কি পরিমাণ বই চুরি হয়েছে সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, ভিডিও ফুটেজ, ট্রাকের অবস্থান  ও অসংলগ্ন কথা-বার্তায় বোঝা যাচ্ছে, বই চুরি হয়েছে।

ধারণা করছি, প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বই নিয়ে গেছে চোরচক্র। এ ঘটনায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এই বিষয়ে জানতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহসিনের ফোনে কয়েকবার  যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গতকাল দুপুরের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) শাহাদাত হোসেন ও হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব শর্মা সুপ্রভাতকে বলেন, স্কুল থেকে গায়েব হওয়া বিনামূল্যের বইগুলো পটিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম সুপ্রভাতকে বলেন, আমি বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।