মার্চ ’৭১ : প্রসঙ্গ অসহযোগ আন্দোলন

ড. মো. মোরশেদুল আলম »

ভারত বিভাগ তথা পাকিস্তান আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল মুসলিম লীগ উত্থাপিত ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্ব বা লাহোর প্রস্তাব (১৯৪০ খ্রি.)। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে ধর্মকেই রাষ্ট্র ও জাতীয়তা নির্ধারণের নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সামাজিক রীতিনীতি ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমানরা এক জাতিভুক্ত, এ ধারণাটি কাজ করেছিল দ্বিজাতিতত্ত্বের উদ্যোক্তাদের মধ্যে। এভাবে এ অঞ্চলের মুসলমান জনগণের ভাগ্য উত্তর-পশ্চিম ভারতের মুসলমানদের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের একটি অংশ হিসেবে তৎকালীন পূর্ববাংলা ও পরে পূর্ব পাকিস্তান নামধারী এ ভূখণ্ডের রাজনৈতিক যাত্রা শুরুর অব্যবহিত পরই বলতে গেলে স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসন লাভ করে। নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের বৃহত্তম দল হিসেবে স্বীকৃত হয় এবং পিপিপি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন যে, সংবিধান ছয়দফার ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হবে এবং কেউই তা প্রতিহত করতে পারবে না। তিনি সেই সাথে এ কথাও ঘোষণা করেন যে, সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের স্বার্থ রক্ষার অনুকূল সাড়া দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, আওয়ামী লীগ সমগ্র দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলÑদেশে দুটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থাকতে পারে না এবং প্রতিনিধিত্বশীল পদ্ধতির নিয়মানুসারে তাঁর দল কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব নিয়ে ভূমিকা পালন করবে। আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে সংবিধান প্রণয়ন করবে। সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও জুলফিকার আলী ভুট্টো নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেন নি। সংবিধানের বিভিন্ন প্রশ্নে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে জানুয়ারির প্রথম দিকে ইয়াহিয়া খান আরো সরাসরি সংলাপের উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের জন্য ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবুর রহমানকে ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন যে, তিনি তার নিজের দায়িত্ব শেষ করেছেন, তিনি এখন তার অফিস ত্যাগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং অচিরেই ক্ষমতা হস্তান্তরের পালা সম্পন্ন হবে। উভয় নেতাই পৃথক পৃথকভাবে আলোচনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ১৭ জানুয়ারি ইয়াহিয়া খান সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর বাড়িতে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। ভুট্টো গণপরিষদের প্রস্তাবিত অধিবেশন বয়কট করার ঘোষণা দেন। এভাবে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুর নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গড়িমসি করে।
পাকিস্তানের এ সুগভীর রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলার জন্য ক্ষমতাসীনদের সামনে মূলতঃ দুটি বিকল্প ছিল: ১। ছয় দফা কর্মসূচি অনুসারে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দুই অঞ্চলের লুপ্ত-প্রায় পারস্পরিক আস্থা পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা করা। অথবা, ২। নির্বাচনের রায় অগ্রাহ্য করে নগ্ন সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে পূর্ব বাংলায় সরাসরি ঔপনিবেশিক শাসন প্রবর্তন করা। কিন্তু পাকিস্তানি জান্তা তাদের পেশাগত প্রবণতার দরুন সামরিক শক্তি প্রয়োগের পথকে বেছে নেয়। এ প্রসঙ্গে এ. আর. মল্লিক বলেন, নির্বাচন হওয়ার পর যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকার গঠন করতে দেওয়া হলো না, তখন থেকেই আমার ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেল যে, পাকিস্তানী শাসনে আমাদের দ্বারা সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না। কারণ, গণতান্ত্রিক উপায়ে আমরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ হই, তাহলেও কোনো রাজনৈতিক নেতাকে সরকার গঠন করতে দেওয়া হবে না। এ সম্বন্ধে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেলাম। সুতরাং মার্চ মাসে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকলো। আমি মনে করলাম যে দেশে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আসন্ন। পশ্চিম পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, সাংবাদিক, আমলা ও কূটনীতিবিদগণ আওয়ামী লীগের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের সংখ্যাধিক্য থাকা সত্ত্বেও ইয়াহিয়া খান জুলফিকার আলী ভুট্টোর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ এক ঘোষণা জারির মাধ্যমে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার সাথে সাথে ঢাকাসহ সারা বাংলায় বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। মূলত এ ঘোষণার পর পূর্ব বাংলার শাসন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চলতে থাকে। এমতাবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ কার্যকরী পরিষদের জরুরী বৈঠকে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ দেশব্যাপী হরতাল আহ্বান করা হলে পূর্ব বাংলার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে সাড়া দেয়। ২ মার্চ ডাকসুর ভিপি আ স ম আব্দুর রব সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত সোনালী দেশের মানচিত্র সংবলিত বাংলাদেশের মানচিত্র উত্তোলন করেন। ৩ মার্চ ঢাকার পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে স্বাধীনতার ঘোষণা, ইশতেহার ও প্রস্তাব পাঠ করা হয়। এ জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। ইশতেহারে বলা হয়, আজ থেকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ঘোষণা করা হল। ৫৪ হাজার বর্গমাইলের ৭ কোটি মানুষের এ আবাসভূমির নাম বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা হবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি কায়েম করা হবে। স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম কমিটি ও মুক্তিবাহিনী গঠন করে সশস্ত্র প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। এই সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক হবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হবে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ এ গানটি। ৬ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়ন সম্পর্কিত সমস্যার সমাধানের জন্য ১০ মার্চ ঢাকায় একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন এবং ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে আরো ব্যাপক ভিত্তিতে অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আহূত ২৫ মার্চের জাতীয় পরিষদ অধিব্শেনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি নিম্নের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছিলেন। ক. অবিলম্বে মার্শাল ল প্রত্যাহার, খ. জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গ. সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং ঘ. সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ ও মানুষ হত্যার ঘটনাসমূহের তদন্ত অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু জনগণকে খাজনা দিতে নিষেধ করেছিলেন। সকল সরকারি/আধা-সরকারি কর্মচারি হরতাল পালন অব্যাহত রাখবে; রেল ও সমুদ্র বন্দরসমূহ সামরিক পরিবহনের কাজে অস্বীকৃতি জানাবে; রেডিও, টিভি ও সংবাদপত্র কেবল বাংলাদেশমুখী সংবাদ ও অনুষ্ঠানমালা প্রচার ও প্রকাশ করবে; টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাজ করবে; ব্যাংকগুলো পশ্চিম পাকিস্তানে কোনো অর্থ পাঠাবে না; বাঙালি ইপিআর-এর সহযোগিতা নিয়ে পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করবে এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। রাও ফরমান আলী বলেন, দবাংগালী ইপিআর’-এর উল্লেখ করার মধ্য দিয়ে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানী অফিসারদের প্রতি ট্রুপসের আনুগত্যকে খর্বিত করার প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তারা পূর্ব পাকিস্তানী অফিসারদের মান্য করুক। এর মাধ্যমে তিনি বাংগালী ট্রুপসকে বিদ্রোহ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এগুলোর অনুসরণে পরদিন সরকার পরিচালনায় আওয়ামী লীগের নির্দেশাবলী জারি করা হয়েছিল। সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায়, তিনি সরকারের নিয়ন্ত্রণ দখল করেছিলেন। বাস্তবে একটি সমান্তরাল সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।”
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের অসহযোগ আন্দোলন প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক টাইমস-এর সংবাদদাতা টিলম্যান ডারডিনের স্ত্রী পেগি ডারডিন বলেন, আন্দোলনের তীব্রতা এবং অনুভূতির উত্তাপ বাঙালি মহলে অস্থানীয়দের অহেতুক ভয় বা ঘৃণার জন্ম দেয়। এতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আক্রান্ত হয় এবং তাদের দোকানপাট লুট হয়। তাদের বাড়ি আক্রান্ত হয় এবং তাদের বেশ কয়েকজন রাস্তায় বা বাড়িতে হত্যার শিকার হয়। এই উত্তাপ বা তীব্রতা মাঝে মাঝে বিদেশিদের বিশেষ করে শ্বেতগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু এই ভীতি বা বিদ্বেষ আশ্চর্যজনকভাবে শেখ মুজিবের কড়া হুকুমে এবং ঐকান্তিক ব্যবস্থায় মিইয়ে যায়। আমরা একটি অভূতপূর্ব এবং অসাধারণ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। একজন রাজনৈতিক নেতার নির্দেশাবলি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে নিচ্ছে। এই নির্দেশাবলি প্রয়োগের জন্য এই নেতার কোনোই বাহিনী বা প্রশাসন ছিল না। আওয়ামী লীগের অসংগঠিত কর্মীগোষ্ঠী এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কোথাও অনুনয় করছে আবার কোথাও নেতার হুকুম মানতে বলছে; কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত এই নির্দেশ মানার পেছনে ছিল পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বাঙালি জাতির ও নেতার মধ্যে একটি অলিখিত অথচ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠার অঙ্গীকার।
জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের সংখ্যাধিক্য থাকা সত্ত্বেও ইয়াহিয়া খান জুলফিকার আলী ভুট্টোর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ এক ঘোষণা জারির মাধ্যমে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার সাথে সাথে ঢাকাসহ সারা বাংলায় বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। মূলত এ ঘোষণার পর পূর্ববাংলার শাসন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে চলতে থাকে। পাকিস্তান সামরিক সরকারের এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে তিনি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ কার্যকরী পরিষদের জরুরী বৈঠকে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ দেশব্যাপী হরতাল আহ্বান করা হলে পূর্ববাংলার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে সাড়া দেয়। এ অসহযোগ আন্দোলনের পরিকল্পনা, এর আদেশ-নির্দেশের পরিপূর্ণতা, এর বাস্তবায়নের দক্ষতা এবং এর পেছনে বাংলার মানুষের সমর্থন একে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে সরকার ও দেশ পরিচালনার এক নিপুণ সনদে পরিণত করে। ফলে সমগ্র পূর্ববাংলায় পাকিস্তানি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক সরকার-কাঠামো ভেঙ্গে পড়ে এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ও নেতৃত্বে কার্যত একটি বিকল্প নির্বাচিত সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।

লেখক: শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়