বলৎকারের অভিযোগ মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া :

সাতকানিয়ায় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ওই শিক্ষকের নাম মো. বেলাল উদ্দিন (৪৫)। গত রোববার রাতে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের শাহ মজিদিয়া এলাকা তাকে আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ মুহুরী পাড়ার এক ছাত্র এক বছর আগে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বালার পাড়ার হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ ইব্রাহিম (রা.) হেফজখানা ও এতিমখানায় ভর্তি হয়।

সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বালার পাড়ার মৃত মো. ইব্রাহিমের পুত্র ও হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ ইব্রাহিম (রা.) হেফজখানা ও এতিমখানার শিক্ষক মো. বেলাল উদ্দিন গত ছয় মাস ধরে ওই ছাত্রকে বলৎকার করে আসছিল। সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট গারাঙ্গিয়ার ডেপুটি হাট এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে তাকে বলাৎকার করে ওই শিক্ষক। পরবর্তীতে আবারো বলাৎকারের চেষ্টা করলে গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায় ওই ছাত্র।

বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা জানান, আমার ছেলে গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসে। পরে তাকে মাদ্রাসায় কখন যাবে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় ওই মাদ্রাসায় আর পড়বে না। কারণ জানতে চাইলে ছেলে কিছু কিছু না বলে চুপ থাকে। কয়েকবার জিজ্ঞাসা করার পর এক পর্যায়ে তাকে জোর করে মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে চাইলে ছেলে শিক্ষকের বলাৎকারের বিষয়টি জানায়। তখন আমি বিষয়টি আমাদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুচের মাধ্যমে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিনকে জানাই। পরে এটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর রোববার রাতে মজিদিয়া এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা ওই লম্পট শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এলাকাবাসী মাদ্রাসা শিক্ষক বেলাল উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা ছাত্র সোমবার আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া শিক্ষককে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।