মহালছড়িতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার এক সপ্তাহ পর মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি :

জেলার মহালছড়িতে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার এক সপ্তাহ পর তিন যুবককে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর পিতা।

এতে আল আমিন (২৭), পিতাঃ আলীম উদ্দিন, গ্রামঃ নতুন পাড়া সহ অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ করা হয়েছে।

সোমবার রাত ৯ টার দিকে ভিকটিম এর বাবা বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন বলে মহালছড়ি থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার পরপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন কুমার শীলের বিরুদ্ধে গুরুতর এই অপরাধকে মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সামাজিক শালিশেরর মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি আল-আমিন ৩১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ভিকটিমকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মহালছড়ি থলিপাড়া এলাকার খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের পূর্ব পার্শ্বে রাবার বাগানে যেতে বলে। ভিকটিম সন্ধ্যা ৭টার  দিকে রাবার বাগানে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা আল-আমিনসহ ৩ জন অজ্ঞাতনামা মুখ চেপে ধরে ঐ ছাত্রীকে জোরপূর্বক নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তধস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পরে। পরে ১ আগস্ট রাত ৩ টার দিকে ভিকটিমের জ্ঞান ফিরে আসলে টিলাপাড়াস্থ উহ্লাপ্রুর ক্যায়াং এর সামনে থেকে ভিকটিম ক্যায়াং এর পাশে থাকা তার স্কুলের সহকারী শিক্ষক প্রণয় প্রান্ত-এর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় তার শিক্ষক আত্মীয় স্বজনকে ফোন দিলে তারা উদ্ধার করে ঐ ছাত্রীকে নিয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভিকটিম এর পিতা এজাহার দায়ের এর বিলম্বের কারণ হিসেবে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনদের অবগত করে থানায় আসতে দেরি হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

মহালছড়ি থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে মহালছড়ি থানার মামলা নম্বর- ২, ০৭-০৯-২০২০ইংরেজী তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০৩ এর ৯(৪)এর (খ) ১০/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনি ব্যবস্থা এবং ভিকটিম-এ স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে মামলাটি গুরুত্বসহ বিবেচনা করা হবে।