কর্ণফুলী লুকআউট

সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের ভালো উদ্যোগ

কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে নগরে নির্মাণ করা হবে পার্ক ও খেলার মাঠ। খাসজমিতে দখল ও নদীদূষণ প্রতিরোধে এ উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন। সাড়ে বার একর সরকারি খাস জমির উপর নির্মিত হতে যাওয়া এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কর্ণফুলী লুকআউট’।
সুপ্রভাতের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে বুধবার (১২ জুলাই) সকালে মাঠ ও পার্কের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। কোনোরকম রিভিউ প্রয়োজন না হলে এক সপ্তাহ পর বিআইডব্লিউ ঘাট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
কিডস জোন থেকে শুরু করে প্রকল্প এলাকায় রাখা হবে নাগরিক সুবিধার নানা উপকরণ। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের ডিজাইন প্রস্তুত হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা।
কর্ণফুলী লুকআউটে একটি ছোট ফুটবল মাঠ তৈরি করা হবে। পাশাপাশি টেনিস, বাস্কেটবল, ভলিবল কোর্ট, ক্লাব হাউস তৈরি করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিখ্যাত লন্ডন আইয়ের আদলে করা হবে ফেরিস হুইল বা বিশালাকার নাগরদোলা । প্রকৃত পার্কে রূপ দিতে সেখানে নির্মাণ করা হবে মুক্তমঞ্চ, বোট মিউজিয়াম, কিডস জোন, ফুডকোর্ট, পার্কিং, পিকনিক স্পট এবং ওয়াকওয়ে।
প্রকল্পের বোট মিউজিয়ামের নাম হবে বোট অব বেঙ্গল। সবরকম দেশজ বোটের স্থিরচিত্র (ছবি) সংগ্রহ করে বোট মিউজিয়ামে রাখা হবে। প্রকল্পে যে খেলার মাঠটি তৈরি করা হবে সেখানে থাকবে ফুটবল, ভলিবল, টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল খেলার ব্যবস্থা।
খাস জমিতে অপদখল ও নদী দূষণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়নে কর্ণফুলী লুকআউট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের নাগরিক সুবিধা প্রদানের কাজটি করবে সিটি কর্পোরেশন।
কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী জায়গাটি সরকারি খাস জমি। উন্মুক্ত এ জমির উপর বিস্তীর্ণ গ্রিন জোন ও পার্ক নির্মিত হয়ে গেলে নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জায়গাটি বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে।
কর্ণফুলী নদী সুরক্ষিত রেখে এখানে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করবে নগরবাসী। শিশু-কিশোররা পাবে খেলাধুলার সুযোগ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্প এলাকায় বিস্তীর্ণ সবুজ পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে উঠুক- এই আমাদের প্রত্যাশা।