সিলভার স্ক্রিনে দর্শকপ্রিয়তার দুই যুগলবন্দী ‘বারবেনহাইমার’

ডেস্ক রিপোর্ট »

বৈরি পরিস্থিতিতে রিলিজ হওয়া ‘বার্বি’ ও ‘ওপেনহাইমার’ ছবি দুটির সুবাদে হলিউড চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দর্শকরা দুটি সিনেমাকে একত্রে ‘বারবেনহাইমার’নামে সমর্থন দিচ্ছেন। ‘বার্বি’ ও ‘ওপেনহাইমার’ কেউ কারও দর্শক ছিনিয়ে নিচ্ছে না, বরং একে-অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। দুটো সিনেমার নির্মাতারা দর্শককে একেবারে ভিন্ন, স্মার্ট এবং মৌলিক গল্প উপহার দিয়েছেন। মানুষ বুঝতে পেরেছে যে, চমৎকার কিছু আছে এতে এবং তারা এর অংশ হতে চাচ্ছে। দুটি সিনেমা প্রত্যাশার চেয়েও ব্যাপকভাবে দর্শকপ্রিয়তা ছাড়িয়ে গেছে। এটি সম্ভবত প্রমাণ করে, দর্শকরা সিক্যুয়েল এবং সুপারহিরো ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো দেখতে দেখতে ক্লান্ত। বিশ্বব্যাপী এই দর্শকপ্রিয়তার আঁচ চট্টগ্রামেও লেগেছে।

রবার্ট ওপেনহাইমার, পারমাণবিক বোমা তৈরির মূল কারিগর এই পদার্থবিদ। যার হাত ধরে বদলে গিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গতিপথ। ওপেনহাইমারের পুরো জীবন বৈচিত্র্য আর রোমাঞ্চে ভরা।

ছোটবেলায় দর্শন ও খনিজবিজ্ঞান নিয়ে ছিল প্রচ- আগ্রহ। শুরুতে পড়াশোনা করেছেন রসায়নে। এরপর সাহিত্যের প্রতি ঝুঁকে পড়েন ওপেনহাইমার। পরে হয়ে ওঠেন শীর্ষ পদার্থবিদদের একজন। ভগবদগীতা পড়ার ইচ্ছায় তিনি শিখে নেন সংস্কৃত ভাষাও। তার কাজে ও কথায় ছিল সাহিত্যের স্পষ্ট ছাপ।

তার জীবনী ‘আমেরিকান প্রমেথিউস: দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্রাজেডি অব জে রবার্ট ওপেনহাইমার’ লিখতে গিয়ে ২৫ বছর পার করেছেন ইতিহাসবিদ কাই বার্ড এবং মার্টিন জে শেরউইন। এই বইয়ের উপর ভিত্তি করেই ‘ওপেনহাইমার’ বানিয়েছেন হলিউড চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান। মেটাফিজিকস, কাঠামো ভাঙা গল্প বলার ভঙ্গি মিলিয়ে ক্রিস্টোফার নোলান যে এ শতকের অন্যতম সেরা নির্মাতা, তাতে কেউ দ্বিমত করবেন না। হলিউডে হাতে গোনা যে কয়েকজন পরিচালকের নামে সিনেমা চলে, নোলান তাঁদের একজন। মোটামুটি দুই থেকে তিন বছর পর নতুন ছবি নিয়ে হাজির হন নোলান, এবার তিনি নিয়ে এসেছেন বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ওপেনহাইমার’। গ্রেটা গারউইগের পরিচালনায় নির্মিত ফ্যান্টাসি-কমেডি ধাঁচের ছবি ‘বার্বি’। এই সিনেমাটিতে আছে নারীবাদের পাঠ। সিনেমাটিতে গুরুগম্ভীর জ্ঞান বিতরণের বদলে সহজ-সরল ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে। এ সিনেমায় নারীবাদের পাশাপাশি এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর সমঅধিকারের প্রসঙ্গটিও জায়গা পেয়েছে।

পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসাবে গ্রেটার সহজ ভাবে গল্প বলার দক্ষতা, সিনেমার হালকা মেজাজ ও অভিনেতাদের দুরন্ত পারফরম্যান্সের জোরে বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে মার্গো রবি ও রায়ান গজলিং-এর ‘বার্বি’। ‘লেডি বার্ড’, ‘লিটল উইমেন’-এর পর পরিচালকের তৃতীয় সিনেমা ‘বার্বি’। নগরীর ফিনলে স্কয়ারের সিলভার স্ক্রিনে এই দুই সিনেমার একাধিক শো চলছে। পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলা সিনেমা সুরঙ্গ, প্রিয়তমা ও প্রহেলিকা।