রেলের জায়গায় হোটেল শপিংমল ও সিনেপ্লেক্স

৪০ বছর পর মালিকানা পাবে রেলওয়ে, প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে এপিক

নিজস্ব প্রতিবেদক »
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর ভিত্তিতে হাসপাতাল নির্মাণের চুক্তির পর এবার শপিংমলসহ হোটেল কাম গেস্টহাউস নির্মাণের জন্য চুক্তি করেছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন পে অ্যান্ড ক্যাশ অফিস ও ফলমণ্ডি মার্কেটের মধ্যবর্তী ২৭ কাঠা জায়গায় ১৫ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এপিক প্রপার্টিজ। গতকাল ঢাকায় রেলভবনে এনিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এছাড়া পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী সুলতানা আফরোজ ও রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে পিপিপি পদ্ধতিতে রেলওয়ে এই জায়গায় শপিংমল, হোটেল, অফিস, সিনেমাহল, কনভেনশন সেন্টার ও এপার্টমেন্ট নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। দুই খাম (টেকনিক্যাল ও ফিনান্সিয়াল) পদ্ধতিতে আহ্বান করা সেই দরপত্রে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয় এপিক প্রপার্টিজ। ২০১৯ সালের আগস্টে কার্যাদেশ দেয়া হলেও গতকাল চুক্তি শেষ হয়।

এবিষয়ে কথা হয় এপিক প্রপার্টিজের পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ডিজাইন বিল্ড ফাইনান্স অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে চার বছরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো। এতে সম্ভাব্য প্রকল্প ব্যয় ৪৫ দশমিক ২৪ কোটি টাকা।

চুক্তির আর্থিক দিক

কাজের শুরুতে রেলওয়ে এক দশমিক ছয় কোটি টাকার আপফ্রন্ট প্রিমিয়াম পাবে এবং দেড় কোটি টাকা উন্নয় ফি পাবে পিপিপি কর্তৃপক্ষ। প্রথম বার্ষিক চুক্তি ফি নিয়োগের তৃতীয় বছর থেকে আপফ্রন্ট প্রিমিয়ামের ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় বার্ষিক চুক্তি ফি আপফ্রন্ট প্রিমিয়ামের ২০ শতাংশ, তৃতীয় বার্ষিক চুক্তি ফি আপফ্রন্ট প্রিমিয়ামের ৩০ শতাংশ, চতুর্থ বার্ষিক চুক্তি ফি আপফ্রন্ট প্রিমিয়ামের ৩০ শতাংশ, ৫ম বার্ষিক চুক্তি ফি ২০ লাখ টাকা, ৬ষ্ঠ বার্ষিক চুক্তি ফি প্রতি বর্গফুট ১০ টাকা এবং ৭ম বার্ষিক চুক্তি ফি পূর্ববর্তী বার্ষিক চুক্তি ফি হতে ৫ শতাংশ বর্ধিত হবে।

চুক্তির বিশেষ দিক

পিপিপি পদ্ধতিতে বেসরকারি অংশীদার কমপ্লেক্স এর আয়তন হবে ৪০ হাজার বর্গফুট। এই আয়তনের মধ্যে ১০ হাজার বর্গফুট জায়গা নির্মাণের পর রেলওয়েকে হস্তান্তর করবে। জমির মালিকানা থাকবে রেলওয়ের অধীনে। ৪০ বছর পর নির্মিত স্থাপনাটি রেলওয়ের শতভাগ মালিকানায় পরিচালিত হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সকল ব্যয় বেসরকারি অংশীদার বহন করবে।
উল্লেখ্য, এর আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পিপিপি এর আওতায় সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণেরও চুক্তি করেছিল। তা নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষ গণআন্দোলন কর্মসূচী পালন করলেও সরকার সেই প্রকল্প থেকে সরে আসেনি।