রামগড় স্থলবন্দর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটাবে

সংবাদ সম্মেলনে পেয়ারুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক »

‘রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে মিরসরাই-ফটিকছড়িসহ উত্তর চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১। যা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে রামগড়কে সংযুক্ত করেছে। এ স্থলবন্দরটি চালু হলে রামগড় থেকে ভারতের ওপর দিয়ে সিলেটের মাধবপুর পর্যন্ত নরসিংদী- মৌলভীবাজার সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেটে যাতায়াতের সুবিধা পাবে চট্টগ্রামবাসী। এছাড়া অর্থনৈতিক বিবেচনায় বেনাপোলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে রামগড় স্থলবন্দর।’

গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
রামগড় স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরও বাড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরও প্রসারিত হবে। চট্টগ্রাম থেকে বেনাপোল যেতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়। কিন্তু রামগড় চালু হলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি রপ্তানি হয় তা আরও কম সময়ে এবং কম খরচে আমদানি করা সম্ভব হবে। যা অর্থনৈতিক বিবেচনায় সারাদেশের জন্য ইতিবাচক। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দরের মত সুফল কাজে লাগাতে রামগড় অধিক ভূমিকা রাখবে।’

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নে বর্তমাস সরকারের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এসব উন্নয়ন ভবিষ্যতে চট্টগ্রামকে আরও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ বুধবার (২৪ মে) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে যাচ্ছে ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বারৈয়ারহাট- হেয়াঁকো রামগড় সড়কের প্রশস্তকরণ ও আধুনিকীকরণের কাজ। যা রামগড় স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করবে। এ প্রকল্পে থাকবে ২৪৯ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৯টি ব্রিজ ও ১০৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে ২৩টি সেতু। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। সড়কটি নির্মিত হলে খাগড়াছড়ি রাঙামাটি থেকে বিভিন্ন পণ্য ঢাকায় পৌঁছাতে আরও সময় কম লাগবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে আনুমানিক ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। পাশাপাশি এ সড়কের মাধ্যমে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের অর্থাৎ সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে।