রাঙামাটি জেলার নেতৃত্বে আবারও দীপংকর-মুছা

আওয়ামী লীগের সম্মেলন

জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে খুশি : কাদের

আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত
নির্বাচনে অংশ নেবে : ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি »

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন- জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে খুশি। আমরা যদি সবাই জনগণকে খুশি রাখতে পারি ভালো আচরণ করে, তবে আগামীর নির্বাচনে আবারো বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবই।’
তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাঙামাটিতে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

রাঙামাটির ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট চত্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন- ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি বারবার। বিএনপির যতবারই ক্ষমতায় ছিলো মেয়াদ শেষে জনগণই তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়েছে। ভুলে গেছেন তারা। ভুলে গেছেন ৯৬ সালের জনতার মঞ্চের কথা।’

‘পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন- ‘পদ্মা সেতু হয়ে গিয়েছে, জুনে উদ্বোধন হবে। মানুষ খুশি। সারা বাংলার মানুষ আনন্দে উল্লসিত। শুধু ফখরুল এবং বিএনপি, তাদের বুকে বড় ব্যাথা। তাদের বুকে বিষজ¦ালা। এই বিষজ¦ালায় তারা আজকে দিশেহারা। মানুষ খুশি, শ্রাবণের আকাশের কালোমেঘ বিএনপির মুখ ঢেকে ফেলেছে।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এখন যত কথাই বলুক, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেবে। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা থাকবেন আর স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিএনপি যে আস্ফালন করছে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকতে সেই পরিস্থিতি কখনো সৃষ্টি হবে না।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ বলেন, জামায়াত-বিএনপি পাকিস্তানের মদদে পরিচালিত বিধায় বাংলাদেশের অর্জন-অগ্রগতি তাদের পছন্দ হয় না। তারা শেখ হাসিনাকে দু’চোখে দেখতে পারে না। তিনি আরো বলেন, ইদানিং দেখা যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেফাঁস ও লাগামহীন কথাবার্তা বলছেন। এভাবে কথা বলতে থাকলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আপনাদেরকে মাঠেই প্রতিহত করবে।

গতকাল সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর পদভারে মুখর হয়ে উঠে রাঙামাটি শহর। ছোট ছোট মিছিল করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট চত্বরে সমবেত হয়। সেখানে জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় সম্মেলনে।

বিকালে দ্বিতীয় অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে টানা চারবার সভাপতির দায়িত্ব পান দীপংকর তালুকদার এমপি। সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটাভুটি হয় দুই প্রার্থী হাজী মুছা মাতব্বর ও হাজী কামালের মধ্যে। এতে বিজয়ী হন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর।