পোশাককর্মীদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক»

সরকার ঘোষিত লকডাউনে নিজস্ব পরিবহন সুবিধা দিয়ে পোশাক কারখানা চালু রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা মানছে না কিছু প্রতিষ্ঠান। ফলে শ্রমিকদের নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে দেরি হলে বেতনও কর্তন করছে এসব প্রতিষ্ঠান। যার কারণে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এতে নগরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পোশাক শ্রমিকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

নগরের টাইগারপাস, চৌমুহনী মোড় ও আগ্রাবাদ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, হাজারো পোশাক শ্রমিক অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। সরকার ঘোষিত  লকডাউনের কারণে গণপরিবহন না থাকায় কর্মস্থলে যেতে না পারায় তারা এ ক্ষোভ প্রকাশ  করেছেন। তাদের কর্মসূচির কারণে বন্ধ হয়ে পড়েছে রাস্তা। আটকে ছিল হাজারো পরিবহন। লালখান বাজার মোড় থেকে টাইগারপাস, দেওয়ানহাট, চৌমুহনী, আগ্রাবাদ বারেকবিল্ডিং, কাস্টম থেকে বন্দর পর্যন্ত তীব্র যানজেেটর সৃষ্টি হয়। এসময় আটকে ছিল অন্যান্য পোশাক শ্রমিকদের গাড়িও।

এক বিক্ষোভকারী শ্রমিক বলেন, ঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পারার কারণ জানতে না চেয়ে বেতন কর্তন করা হচ্ছে, অথচ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গাড়ির ব্যবস্থা  করা হয়নি। সরকার ঘোষিত লকডাউনে পোশাক শ্রমিকদের জন্য নিজস্ব গাড়ির ব্যবস্থা করে যাতায়াত সুবিধা দেওয়ার কথা থাকলেও সব প্রতিষ্ঠান তা দিচ্ছে না। পরিবহন ব্যবস্থা না করে বেতন কর্তনের নামে আমাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। শুধু তা নয়, রিকশা চলাচলে বিধিনিষেধ না থাকায় তারাও ভাড়াও দ্বিগুণ করে রেখেছে। সময়মত রিকশাও পাওয়া যাচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে হেঁটে রওনা হচ্ছে কর্মস্থলের পথে। রিকশা পেলেও দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে ঠিক সময়ে পৌঁছানো যায় না কর্মস্থলে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘গণপরিবহন না থাকায় ও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে বলে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেছে। পরবর্তীতে বিজিএমইএ’র সাথে কথা হয়েছে। তারা শ্রমিকদের জন্য গাড়ি ব্যবস্থা করেছে। আগামীকাল (আজ) থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের গাড়ির ব্যবস্থা করবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেছে।’