নতুন প্রজন্মই আগামীর বাংলাদেশ

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় কমোডর এ ডব্লিউ চৌধুরী

এম. এ আজিজ স্টেডিয়াম গোল চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলিত হয় এবং একই সাথে বিজয় মঞ্চের কার্যক্রম সূচিত হয়। বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন মঞ্চের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আমজনতার এক আনন্দঘন আবেগ অনুভূতিমালায় জয় বাংলা স্লোগানের মধ্যে দিয়ে প্রধান অতিথি “অপারেশন জ্যাকপট” এর অধিনায়ক কমোডর এ. ডব্লিউ চৌধুরী বীর উত্তম ও বীর বিক্রম এবং বিশেষ অতিথি নূর মোহাম্মদ চৌধুরী ও উপ-প্রধান শাহ বদিউল আলম বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের অগ্নিশলাকা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার প্রতিষ্ঠাতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কনিষ্ঠ সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানুর সন্তান কাজী রাজেশ ইমরানের হাতে হস্তান্তর করলেন। তারা তা বিজয় শিখার টাওয়ারে স্পর্শ করা মাত্রই বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠে।
কমোডর এ. ডব্লিউ চৌধুরী নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, হে নতুন প্রস্তুত হও, তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ। বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ এবং বিজয় মেলার কর্মকর্তাগণ জাতীয় সঙ্গীতের সূর মূর্চ্ছনায় জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পতাকা উত্তোলন করেন। এর পর পরেই বিজয় মঞ্চে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্দীপনামূলক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমোডর এ. ডব্লিউ চৌধুরী বীর উত্তম ও বীর বিক্রম বলেন, পৃথিবীর মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এত ত্যাগ, আর কোথাও নেই। এমনকি একটি ঘাতক অপশক্তি যাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছি, যাদের কোন সভ্যতা মর্যাদা ও সুস্থতা নেই। বর্বরতা, বিকৃতি, পাশবিক দস্যুতা তাদের রক্তের প্রতিটি কনায় মিশে গিয়ে ছিল বলেই আমরা মধ্যেযুগীয় অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিলাম এ থেকে ত্রাণ পেতে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়েছিল এবং হানাদারদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখন জীবন সায়াহ্নে। তাই নতুন প্রজন্মই আগামীর বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান রাশেদ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুলের সঞ্চালনায় সভায় প্রথমে করোনাকালে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইঊনুছ। বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি নূর মোহাম্মদ চৌধুরী, নৌ কমান্ডো যুক্তরাষ্ট প্রবাসী আবু তাহের, নূরুন্নবী ও কামাল উদ্দিন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র। সন্ধ্যায় বিজয় মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন খ্যাতিমান লোক ও গণ শিল্পী ফকির সাহাবউদ্দিন।