চোখের সামনেই বদলে গেলো বাংলাদেশ

আবদুল মান্নান »

গত রবিবার বাংলাদেশে ঘটে গেলো একটি যুগান্তকারী ঘটনা।

এ‘দিন পাবনার রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থাপিত হলো এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা চুল্লি । এই চুল্লি স্থাপন এই বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে পরমাণু শক্তি ক্লাবের তেত্রিশ নম্বর সদস্য হলো। আমাদের প্রজন্ম যাদের বয়স পঞ্চাশ বা ষাটোর্দ্ধ তাদের জন্য এমন সব উন্নয়ন কর্মকা- অনেকটা স্বপ্নযাত্রার মতো কারণ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল রিলিফের গম খেয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিতে হয়েছিল রিলিফের একটি শার্টের কাপড়ের জন্য । ১৯৭৩ সালে আগস্ট মাসে সাড়ে চারশত টাকা বেতনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিই প্রভাষক হিসেবে । উপাচার্য ছিলেন সাহিত্যিক আবুল ফজল।

তিনি বঙ্গবন্ধুকে বিশেষ অনুরোধ করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করলেন । পনের দিন অন্তর দুই কেজি রিলিফের গম আর আধ কেজি চিনি।

কেন বাংলাদেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি দেখে স্বপ্নযাত্রা বলি তা এই প্রজন্মের মানুষ বুঝবেন আশা করি । চোখের সামনেই বদলে যেতে দেখলাম  দেশটাকে । এমন ভাগ্য খুব কম মানুষেরই হয় ।

বঙ্গবন্ধু এই বদলে যাওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়ে বিধ্বস্ত বাংলাদেশটার হাল ধরেছিলেন ১৯৭২ সালে । কাছের ও দূরের শত্রুরা তাঁকে তাঁর দীর্ঘদিনের লালায়িত স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে দেয়নি । দেশটা যখন ধ্বংস্তুপ হতে উঠি দাঁড়িয়ে হাঁটতে শিখলো ঠিক তখনই সেই স্বপ্নদ্রষ্টাকে হত্যা করা হলো সপরিবারে। বিদেশে থাকাতে বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা। সেই শেখ হাসিনাই বদলে দিল বাংলাদেশের অনেকটা যা আজকের বিশ্বে সকলের কাছে এক বড় বিস্ময় । এটি সম্ভব হয়েছে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, তাঁর ধৈর্য, সাহস আর দূরদৃষ্টির কারণে ।

পিতা দেশটাকে অনুন্নত দেশের তালিকা হতে স্বল্প উন্নত দেশের তালিকায় উন্নীত করে গিয়েছিলেন আর কন্যা সেই দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল করেছেন। পরিকল্পনা করেছেন ২০৪১ সাল নাগাদ ধ্বংস্তুপ থেকে জেগে উঠা দেশটা উন্নত বিশ্বের কাতারে সামিল হবে। প্রস্তুত করেছেন ভিশন ২০৪১ ।

গত বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হিসেবে করে বলেছিল বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় গড়ে ভারতের চেয়ে বেশি । গত মঙ্গলবার আইএমএফ তাদের ‘ইকোনোমিক আউটলুকে’  ঘোষণা করেছে এই বছরও বাংলাদেশের এই ধারা অব্যাহত রয়েছে । বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি তিনশত বিলিয়ন ডলার । বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিমাণ হবে ৫১৬.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ডেনমার্ক, সিঙ্গাপুর ও হংকং এর চেয়েও বেশী হবে (দি বিজনেস স্টান্ডার্ড, ১৩ অক্টোবর, ২০২১)।

শেখ হাসিনা যখন এবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিলেন তিনি টেকসই উন্নয়ন  লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হন ।

পুরস্কারটি জাতিসংঘ ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে দেয়া হয় । পুরস্কারটি হাতে তুলে দেয়ার সময় বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ জেফরি স্যাস (ঔবভভৎবু উধারফ ঝধপযং) শেখ হাসিনাকে সম্বোধন করেন ‘আজকের দিনের মাথার মুকুটের হিরা’ হিসেবে ।

জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশকে আখ্যায়িত করেন “উন্নয়নের যাদু” (উবাবষড়ঢ়সবহঃ  গরৎধপষব) হিসেবে । বাস্তবে এখানে যাদুর কিছু নেই । আছে সঠিক সময়ে সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব । বিশ্বব্যাংক হতে বিশ্বমুদ্রা তহিবল সকলের মতে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতি । ২০৩০ সাল নাগাদ তা ২৪তম হতে পারে ।  তবে কোভিড অতিমারির কারণে হিসাব কিছুটা এদিক ওদিকও হতে পারে ।

এই বিশ্ব অতিমারির সময়ও যে তেইশটি দেশ অর্থনীতির গতিকে সচল রাখতে পেরেছে তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় । বিশ্ব সম্প্রদায় এও স্বীকার করেছে কোভিড অতিমারি মোকাবেলায় বাংলাদেশ এই অঞ্চলে অন্য সকলের চেয়ে ভালো করেছে । অতিমারি ব্যবস্থাপনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই । জাপানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক নিক্কি’র মতে কোভিড-১৯ সূচকে করোনা মোকাবেলায় ১২১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ ।

এটি স্বীকার করতে হবে শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই দুর্যোগ মোকাবেলায় কিছুটা আনাড়িপনার পরিচয় দিয়েছে । তবে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে তা দ্রুততম সময়ে দূর হয়েছে ।

প্রথমত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টির ভয়াবহতা বুঝতে পারে নি । প্রস্তুতিও তেমন ছিল না । অন্যদিকে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট হতে বাংলাদেশ আগাম মূল্য পরিষদ করে যে ত্রিশ কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি করেছিল তার সবটা সময় মতো সিরাম সরবরাহ করতে পারে নি কারণ ভারতে কোভিড-১৯ অতিমারির হঠাৎ ভয়াবহ আক্রমণ যা মোকাবেলা করার জন্য ভারতের আগাম প্রস্তুতির অভাব ছিল । চটজলদি ব্যবস্থা হিসেবে তারা ভারত হতে সবধরনের টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এটা ছিল একটি অনুচিত কাজ । তবে বাংলাদেশ বসে থাকেনি । শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য দেশের টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে নগদ অর্থে টিকা আনার ব্যবস্থা করা হলো। কিছু পাওয়া গেলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভেক্স প্রকল্পের অধীনে । অন্যান্য দেশের তুলনায় আরো একটা বিষয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে আর তা হচ্ছে দেশের সকল মানুষকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহের ব্যবস্থা । ভারতে প্রতি ডোজ টিকা পাঁচশত রূপি হতে আটশত রূপি দিয়ে কিনতে হয়েছে । এখন সিরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের পাওনা টিকা সরবরাহ শুরু করেছে । প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন প্রয়োজনে আরো টিকা ক্রয় করা হবে।

অনেকে প্রশ্ন করেন যেখানে ইউরোপ আমেরিকা অথবা পাশের দেশ ভারত যখন অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে হিমশিম খেয়েছে, যেখানে বিশ্ব অর্থনীতি ৬ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে সেখানে বাংলাদেশ কি যাদুমন্ত্রবলে তা ৪ শতাংশের উপরে রাখতে পেরেছে? সম্প্রতি বিশ্ব মুদ্রা তহবিল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হবে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যৌথভাবে ঘোষণা করেছে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে ধরে রাখার পিছনে সব চেয়ে বড় অবদান কৃষি আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প । বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকরাও দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রেখেছে ।

শুরুর  বাংলাদেশে পাকা রাস্তা বলতে ছিল ঢাকা চট্টগ্রামের মতো কয়েকটি শহরে। এখন বাংলাদেশের প্রায় সকল গ্রামে পাকা সড়ক হয়েছে। কোন এক গ্রামে যেতে যেখানে আগে কমপক্ষে একদিন সময় লাগতো সেখানে এখন দিনে গিয়ে দিনে আসা যায় । দেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে । আমি নিজে চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দা। কলেজ পর্যন্ত পড়া লেখা করেছি হারিকেনের আলোয়। যে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল শূন্য বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল দিয়ে সেই বাংলাদেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৪৮ মিলিয়ন ডলার। ধার দেনার ব্যবস্থা না হলে বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেট প্রস্তুত সম্ভব ছিল না। সেই পরিস্থিতি আজ সম্পূর্ণ বদলে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে তার বাজেটের প্রায় নব্বই শতাংশ নিজের উৎস হতে অর্থায়ন করে ।

উন্নয়ন বাজেটের ৮ শতাংশ আসে বৈদেশিক ঋণ হতে আর দুই শতাংশ আসে অফেরত  যোগ্য সহায়তা (গ্রান্ট) হিসেবে।

আর সেই বাংলাদেশ বন্ধু প্রতিম দেশ শ্রীলংকাকে সম্প্রতি আড়াইশ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে । এর আগে নেপাল আর শ্রীলংকাকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। এটি সেই বাংলাদেশ যেখানে গৃহিনী রিলিফের চাল না আসলে চুলায় হাঁড়ি চড়াতে পারতো না।

এদেশের মানুষ বাস্তবে ভাতের বদলে রুটি খাওয়া শিখেছে পঞ্চাশ বছর আগে যখন দেশে প্রচ- খাদ্যাভাব ছিল। দেশটি নির্ভরশীল ছিল ওই রিলীফ আর খাদ্য সহায়তার উপর। সেই বাংলাদেশ বছর খানেক আগে ফিলিপিন্স এ দশলক্ষ টন চাল রফতানি করেছে ।

একটি দেশের পরিবর্তন চলমান। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিবর্তন থমকে গিয়েছিল সেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপর। এরপর একে একে দু’জন সামরিক শাসক  এসেছেন। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর দেশের প্রথম সেনা শাসক জেনারেল জিয়ার স্ত্রী বেগম জিয়া নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছেন কিন্তু তেমন কিছু একটা করতে পারেন নি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা দীর্ঘ একুশ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছেন ঠিক কিন্তু তাঁর প্রশাসন ছিল অনেকটা জিয়া আর এরশাদ আমলের তাদের সাথে যোগ হয়েছিল বেগম জিয়ার শাসনামলের কিছু কর্মকর্তা। তাদের লক্ষ্যই ছিল শেখ হাসিনাকে পিছন থেকে টেনে ধরা আর বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানে রূপান্তর করার ধারা অব্যাহত রাখা। তারপরও সেই যাত্রায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের সড়কে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। মনোযোগ দিয়েছিলেন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রত্যেক ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক। জোর দিয়েছিলেন নারী শিক্ষা সহ নারীর ক্ষমতায়নে। প্রথমবারের মতো দেশের সেনা বাহিনীতে নারী নিয়োগ শুরু হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে এই সব কিছুই বন্ধ করে দেয়। দেশে তাঁর  জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবন কেন্দ্রিক একটি সমান্তরাল শাসন ব্যবস্থা চালু করে। নিজে হয়ে উঠেন দূর্নীতির বরপুত্র। তারপর এলো এক এগারোর সরকার। যদিও এই সরকার এসেছিল একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত করে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য। তারা নির্বাচন করা বাদ দিয়ে যা তাদের করার কথা নয় তার সব কিছুই করেছে । সংবিধান তাদের ক্ষমতা দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে । কিন্তু তারা বুঝতে পেরেছিল ক্ষমতার মজাই আলাদা । থেকে গিয়েছিল দুই বছর । সব শেষে এক গণবিক্ষোভের মুখে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় এবং সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আর তার মিত্ররা ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত এক ধ্বস নামানো বিজয় লাভ করে। সেই থেকে বাংলাদেশের নব যাত্রার শুরু ।  দেশটির নিজের অর্থায়নে নির্মিত হয়ে গেলো পদ্মা সেতু। কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে সুড়ঙ্গপথ নির্মাণ করে নদীর এপার ওপারের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে দিল সরকার। ওপারে এখন গড়ে উঠবে আর একটি চট্টগ্রাম যা হবে মূলত একটি শিল্প নগরী, কর্মসংস্থান হবে কয়েক হাজার মানুষের।  পদ্মার তলদেশ দিয়ে আর একটি সুড়ঙ্গপথ তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এক সময় এই ঢাকা বা চট্টগ্রামে গরুর গাড়ি চলতো । এখন সেখানে চলবে মেট্রো রেল। যখন রাশিয়া মহাশূন্যে  প্রথম  উপগ্রহ (১৯৫৭ সাল, স্পুটনিক) পাঠালো এদেশের মানুষ তখন অনেকটা অবিশ্বাসের সাথে তা শুনলো। এখন বাংলাদেশের উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ মহাশূন্যে ঘুরছে । দ্বিতীয়টাও যাবে মহাশূন্যে দু’এক বছরের মধ্যে। এত সব কর্মযজ্ঞ ঘটে গেলো আমাদের প্রজন্মের চোখের সামনে। নির্মোহভাবে চিন্তা করলে যে কোন বিবেকবান মানুষ বর্তমান সরকারকে বাহ্বা দিবে । অবশ্য সরকারের সকল অর্জনকে কিছুটা হলেও কালিমা লিপ্ত করেছে সরকারি কিছু কর্মচারির দূর্নীতি আর চরম অযোগ্যতা । তবে এবারের সরকারের সাথে পূর্বের সরকার গুলোর তফাৎ হচ্ছে আগে এই সব অপকর্মের বিচার হতো না এখন হয় । ে শেখ হাসিনার সমানের আরো কিছু বড় চ্যালেঞ্জ আছে । তাঁর চার পাশে  একটি অদৃশ্য দেয়াল তৈরী করা হয়েছে । সেখানে তিনি বুঝতে পারেন না এখন আওয়ামী লীগে কত জামাায়ত আর কত বিএনপি। বুঝতে পারেন না কারা অর্থের বিনময়ে মনোনয়ন, রাষ্ট্রিয় পদক. গুরুত্বপূর্ণে পদে পদায়ান করেন ।

অনেক যায়গায় আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নামদারিরা। প্রধানমন্ত্রীকে এই দেয়াল ভাঙ্গতে হবে।

স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুটার সাক্ষী আমার প্রজন্ম। পঞ্চাশ বছরে তার উত্থান, থমকে যাওয়া, কখনো কখনো পতন দেখেছি । আশা করছি আরো কিছু দিন আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখবেন শত বাধা আর ষড়যন্ত্র ডিঙ্গিয়ে শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের আরো কিছু অগ্রযাত্রা দেখতে।

লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক