পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট

টেকনাফ বাণিজ্য অতিরিক্ত সচিব

নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
পরিবহন ও শ্রমিক সিন্ডিকেটের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
গতকাল শনিবার টেকনাফ স্থল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারক বন্দরের কর্মকর্তা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে আসা পেঁয়াজসহ আমদানি পণ্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাতে অতিরিক্ত ট্রাকভাড়া এবং শ্রমিকদের সিন্ডিকেটই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য সচিব এম সফিকুজ্জামান।
তিনি এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন। এ ছাড়া পচনশীল এই পণ্য বন্দর থেকে দ্রুত খালাস হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধের আশ্বাস দেন অতিরিক্ত সচিব।
তিনি আরও জানান, একজন ব্যক্তির হাতে টেকনাফ স্থল বন্দরে শ্রমিকদের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। তাও ৫/৬ বছর এই ব্যক্তিই শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ, শ্রমিকদের মজুরির ব্যবসা করছে। এখন এটা ওপেন টেন্ডার হওয়া দরকার। এছাড়া টেকনাফ স্থল বন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত পণ্য বোঝাই একটি ট্রাকের ভাড়া ৪০ হাজার টাকারও বেশি নেয়া হচ্ছে। এটি কোনও মতেই কাম্য নয়। এবং ব্যবসায়ীদের ঘাটে ঘাটে নানা চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন সিন্ডিকেটকে। যে কারণে পেঁয়াজসহ আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
এর আগে এম সফিকুজ্জামান বন্দর এলাকা ঘুরে দেখেন এবং ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা জরুরি বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। সচিব বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আনা পণ্য খালাসের পর স্ক্যানিং সুবিধা না থাকায় মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকতে পারে, সে লক্ষ্যে দ্রুত একটি স্ক্যানার বসানোর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব ছাড়াও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, বিজিবি প্রতিনিধি, বন্দরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে ৮ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ও সেপ্টেম্বর মাসে ১৯৩৬ মেট্রিক টন, আগস্ট মাসে ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে আমদানি হয়েছে।