কাঁঠালের ব্যবসায় লোকসানের আশঙ্কা

ফটিকছড়ি

মো. আবু মনসুর, ফটিকছড়ি »
ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। তবে স্থানীয় বাজারে কাঁঠাল ১ মাস আগে থেকে ক্রয় বিক্রয় শুরু হয় বলে জানান চাষিরা। বারি ১,বারি ২,খাজা, দোসরা গালা কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এর কদরও রয়েছে বেশ ভালো। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তাছাড়া দেশের উদ্যোক্তারা ফটিকছড়ির খাজা কাঁঠাল বিদেশে রপ্তানি করছে। নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে স্থানীয় কৃষকরা এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষ করে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। এদিকে ফলন কম আর কাঁঠালের আকার ছোট হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন বাগানমালিক ও মৌসুমি কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় কাঁঠালের ফলনে এ বিপর্যয় বলে মনে করছেন বাগান মালিকেরা। তাছাড়া কাঁঠাল গাছ কেটে ঘরের ফার্নিচারসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার কারণে কাঁঠাল গাছ এর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের তথ্য বলছে, উপজেলায় পনেরশো হেক্টর জমিতে কাঁঠালের বাগান রয়েছে। ১ হাজার ২শ ৬০ হেক্টর জমিতে এবার কাঁঠালের চাষাবাদ হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় ও আশপাশের ভিটাবাড়িতে কাঁঠালের চাষ হয়। উপজেলার হেয়াকো, বাগানবাজার, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, পাইন্দং ইউপির ডলু, কাঞ্চননগর ইউপির বাইনে ্নচুলা, খিরামসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাগানগুলোতে ফল খুব একটা নেই। ফলন বিপর্যয়ের জন্য প্রকৃতির বিরূপ অবস্থাকে দায়ী করছেন কৃষকেরা। এলাকার কৃষক মো.জানে আলম মাসুদ বলেন, বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড় ও অন্যান্য খোলা জায়গায় তার ১৫টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ৫০টির মতো কাঁঠাল ধরেছে। তবে অন্য বছরের চাইতে এবার গাছে অনেক কাঁঠাল কম এসেছে বলে জানান তিনি। ইসমাইল হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গাছে খুব কম কাঁঠাল এসেছে। গাছে প্রচুর কাঁঠালের মুকুল আসলেও দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে তা প্রায় ঝরে গেছে। হেয়াকো মোহাম্মদপুর এলাকার কাঁঠাল বাগানের মালিক শহিদ বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের ফলন কম হয়েছে। ফলে লোকসান পোহাতে হবে। ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবছর বৃষ্টি কম হওয়ায় ফলন কম হয়েছে, তাছাড়া গাছ কেটে নতুন বাগান সৃজন না করায় কাঁঠালের ফলনের কমে যাচ্ছে। তবে ফটিকছড়ির খাজা প্রজাতির কাঁঠাল বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের সুবিধার্থে আরো উদ্যোক্তা নিয়ে বাজার সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছি।