চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার ৯টিই লাল জোনে

হলুদে ৩ ও সবুজে ২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার ৯টি লাল জোনে এবং ৩টি হলুদ ও দুটি সবুজ জোনে রয়েছে। লাল জোনের এলাকাগুলো কবে নাগাদ লকডাউন করা হবে সেবিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে শিগগিরই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
চট্টগ্রামের যেসব উপজেলা লাল জোনে রয়েছে- আনোয়ারা, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সীতাকু-।
হলুদ জোনে রয়েছে ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া। এছাড়া সবুজ জোনে রয়েছে সন্দ্বীপ ও মিরসরাই।
যেভাবে নির্ধারিত হলো লাল, হলুদ ও সবুজ জোন
৩১ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত যেসব এলাকায় প্রতি একলাখ জনসংখ্যার মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ বা এর বেশি হয়েছে সেসব উপজেলাকে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আনোয়ারায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ৩৭ জন আক্রান্ত হয়ে লাল জোনে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া বাঁশখালীতে ৫ লাখ ৬৫ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ৫১ জন, বোয়ালখালীতে ২ লাখ ৫১ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ১২৮ জন, চন্দনাইশে ২ লাখ ৬৮ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ৮১ জন, হাটহাজারিতে ৪ লাখ ৯৫ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ১৭৬ জন, পটিয়ায় ৫ লাখ ৪৮ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ১৩১ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ লাখ ৮১ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ৩৯ জন, রাউজানে ৩ লাখ ৯৫ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ৫৫ জন, সীতাকু-ে ৪ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ৯৭ জন আক্রান্ত হয়ে লাল জোনের আওতায় পড়েছে।
অপরদিকে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার মধ্যে যদি গত ৩১ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত তিন বা এর বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে ওই এলাকাকে হলুদ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জোনের মধ্যে ফটিকছড়ি ৬ লাখ ২৮ হাজার মানুষের মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন, লোহাগাড়ায় ৩ লাখ ৫১ হাজার মানুষের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন এবং সাতকানিয়ায় ৪ লাখ ৪৭ হাজার মানুষের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন।
সর্বশেষ কোনো এলাকায় যদি এক লাখ মানুষের বিপরীতে তিন এর কম মানুষ আক্রান্ত হয় তাকে সবুজ জোনের আওতায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এই জোনের মধ্যে রয়েছে মিরসরাইয়ে ৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের বিপরীতে ১১ জন এবং সন্দ্বীপে ৩ লাখ ৬৮ হাজার মানুষের বিপরীতে আট জন আক্রান্ত হয়েছেন।
রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা এলাকাগুলো কবে নাগাদ লকডাউন করা হবে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘এলাকাগুলো ঘোষণা হয়ে গেছে। এখন সরকারের নির্দেশনা পেলেই আমরা লকডাউন শুরু করে দেবো। তবে এবার লকডাউন খুব কড়াকড়ি হবে বলে এতে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।’
উল্লেখ্য, ঢাকার পরে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জেলায় ইতিমধ্যে ৫ হাজার ২০০ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১১৭ জন।
ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০টি ওয়ার্ডকে লাল জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং একটি ওয়ার্ডে কাল মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে।