সাইনবোর্ড লাগানো নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৪

বাকলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক >>
বাকলিয়ায় আবদুল লতিফ হাটখোলা এলাকার বড় মৌলভী কবরস্থানে সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন আবদুল্লাহ কাইছার (৩৯), মাসুদ (২৮), ফয়সাল (২৮) ও মুরাদ (২৫)। আহতরা হলেন, জাহাঙ্গীর (৪২), মান্নান (৩৯), শহিদুল্লাহ (৩৮), তৈয়ব (২৮), শাহাব উদ্দিন শাওন (২৫), আসিফ (২৪), জয় (১৪), সামাদ (২২) ও রিয়াজ উদ্দিন (২০)। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড় মৌলভী কবরস্থানে পূর্বের সাইনবোর্ডটি অজ্ঞাত কারণে ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ায় শুক্রবার সকালে নতুন সাইনবোর্ড টাঙাতে যান আহমেদ ইলিয়াস। তিনি বড় মৌলভীর দৌহিত্র। এ সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে দুর্বিত্তরা তাদের ওপর হমলা চালায়। এসময় বড় মৌলভী বাড়িসহ স্থানীয়দের সাথে ইয়াকুব আলী গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকে আহত ও ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।
এ বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ ইলিয়াস বলেন, ‘বড় মৌলভী আমার দাদা। তিনি এলাকাবাসীর জন্য এ কবরস্থান দান করেছেন। এ কবরস্থানের পুরনো সাইনবোর্ড নষ্ট হয়ে গেছে ৪ মাস আগে। এতে নতুন সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে ইয়াকুব আলীর সিএমপির শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াকুব আলী ও তার সহযোগী ওসমান, মাসুদ ও মহিউদ্দিন জনিরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় মহিউদ্দিন জনিকে গুলি করতে দেখা যায়। তাছাড়া বেশ কয়েকজন হেলমেট পড়া থাকায় তাদের চিহ্নিত করা যায়নি। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৩ জন আহত হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘এ কবরস্থান এলাকাবাসীর জন্য উন্মুক্ত হওয়াতে এতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইয়াকুব আলী ব্যবসা করতে চাইছিলেন। কবর দিতে গেলে এলাকাবাসী থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করতেন তিনি। সাইনবোর্ড নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঈদের আগের দিন রাতে ইয়াকুব আলী গ্রুপ কবরস্থানের দেওয়ালে নতুন কবরস্থান নামে চিকা মেরে দেন। কিন্তু দাদার নামে কবরস্থান হওয়াতে আমি এ কবরস্থান সংস্কারে ১০ বছরে অনেক টাকা খরচ করেছি। এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে ইয়াকুব আলীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় মাদক, অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। টেকনাফ থেকে দেড় কেজি হেরোইন (মাদক) আনার সময় তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, ‘শুক্রবার দুপুর ১২টায় বাকলিয়া থেকে গুলিবিদ্ধ ৪ জনসহ মোট ১৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ২৫ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে দেন।’
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, ‘শুক্রবার সকালে বড় মৌলভী কবরস্থানে নতুন সাইনবোর্ড লাগানো নিয়ে স্থানীয় বড় মৌলভী বাড়ির লোকজন ও ইয়াকুব আলীর লোকজনের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুলিশ যাওয়ার আগে গোলাগুলির ঘটনা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’