উপস্থিতির হার ৬১ শতাংশ

চবি এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

চবি সংবাদদাতা »

এ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষা। দুশিফটের পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৩১৪৯ জন। এ ইউনিটে মোট আবেদনকারী ছিল ৫৪ হাজার ১০৬ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ২০৯৫৭ জন শিক্ষার্থী। ভর্তিচ্ছুদের উপস্থিতির হার ৬১ শতাংশ। মঙ্গলবার সকাল ও বিকেলে দুশিফটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও হাটহাজারীও পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল।

কুষ্টিয়া থেকে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ উল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, অনেক দূর থেকে এসেছি। এখানের প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী ও সাধারণ শিক্ষার্থী সবাই আন্তরিক। ক্যাম্পাসের পরিবেশও অনেক চমৎকার।

আরেকজন অভিভাবক সাবিত্রী পাল জানান, আমি কক্সবাজার থেকে এসেছি। আমার ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছে। এখানের রাজনীতি নিয়ে একটু ভয় কাজ করে। প্রায়ই টিভিতে দেখি মারামারি হয়। তবে এর বাইরে পড়াশোনার পরিবেশ খুবই ভালো। আমার আশা ছেলেকে কম্পিউটার সাইন্সে পড়ানো।
প্রশ্নের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা নিলেও চবি নিয়েছে সম্পূর্ণ সিলেবাসে। শিক্ষার্থীদের দাবি অধিকাংশ প্রশ্ন শর্ট সিলেবাস থেকে এসেছে। রাইতুন জান্নাত জানান, প্রশ্ন কমন পড়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস বললেও বেশি প্রশ্ন শর্ট সিলেবাস থেকেই এসেছে।

এ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করতে দু থেকে তিনদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং এ ইউনিটের সমন্বয়ক ড. মো. তৌহিদ হোসেন।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে পরীক্ষা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

ফোন ছিনতাই
এদিকে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অভিনব কায়দায় ছিনতাই করেছে একদল দুর্বৃত্ত। জমা রাখার নাম করে ৭ শিক্ষার্থীর ফোন এবং ব্যাগ নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এদিকে হঠাৎ সব হারিয়ে বিপদে পড়ে ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, প্রথম শিফটের পরীক্ষা চলাকালে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ১০ জন যুবক হেল্প ডেস্ক বসিয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল, ব্যাগ ইত্যাদি জমা রাখার কথা বলে। বিনিময়ে টোকেন দেওয়া হবে। পরীক্ষা শেষে টোকেন দেখালেই ফেরত দেওয়া হবে সব কিছু। পরীক্ষার হলে মোবাইল ও ব্যাগ নিয়ে যাওয়া যাবে না চিন্তা করে ৭ জন শিক্ষার্থী তাদের কাছে জমা রাখেন। কিন্তু পরীক্ষা শেষ করে বের হয়ে দেখেন হেল্পডেস্ক নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, একটি চক্র শিক্ষার্থীদের বোকা বানিয়ে ছিনতাই শুরু করেছে। আমরা অপরাধীদের খোঁজ শুরু করেছি। পুলিশ প্রশাসনও চেষ্টা চালাচ্ছে। সিসি ক্যামেরা দেখে শিগগিরই অপরাধীদের ধরা হবে।