আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত ফটিকছড়ির চাষি

মো. আবু মনসুর, ফটিকছড়ি »

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফটিকছড়ির চাষিরা। এ বছর  বৈরি আবহাওয়া ও মহামারি  করোনা পরিস্থিতিতেও আগাম সবজি চাষ করতে পিছপা হননি সবজি চাষিরা। তবে ঝড়-বৃষ্টি ও  করোনা পরিস্থিতির কারণে এ সবজি চাষে খরচ বেশি হচ্ছে বলে জানান তারা।কোদাল, পাচুন, মাথল, লাঙল-গরুসহ আনুষাঙ্গিক কৃষি সরঞ্জামাদি নিয়ে কাকডাকা ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন কৃষকরা। এরপর ক্ষেতে গিয়ে যে যার মতো কাজে নেমে পড়েন। কেউ দাঁড়িয়ে বা কোমর বাঁকিয়ে কোদাল মারতে থাকেন। আবার কেউবা গাছ ঠিকঠাক রেখে চারপাশ দিয়ে পাচুন চালাতে থাকেন অবিরাম। কেউ কেউ জমি প্রস্তুতির কাজের লাঙল-গরু দিয়ে হালচাষের কাজ করছেন। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের আবর্তে গরু দিয়ে হালচাষ পদ্ধতি হারিয়ে যেতে বসেছে। সবুজ কচি চারায় ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মূলা, করলা, পটল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতের সবজি। উপজেলার কাঞ্চননগর,পাইন্দং,খিরাম, সুয়াবিল, নাজিরহাট, হারুয়ালছড়ি, ভূজপুর, নারায়ণহাটসহ একাধিক গ্রাম ঘুরে আগাম সবজি চাষ নিয়ে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার এমন দৃশ্য দেখা যায়। উত্তর চট্টগ্রামের বৃহত্তর সবজির মাঠ পাইন্দং বেড়াজালী মুজরির চরের সবজির চাষি নোমান বলেন, দেশে মহামারি করোনা ভাইরাস আর অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আগাম সবজি চাষে বিলম্ব হচ্ছে। আগাম সবজি চাষ করার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এর পরেও থেমে নেই আমরা। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও আগাম সবজির চাষ করছি আমরা।কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের সবজি চাষি মামুন,রুবেলসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান,দুর্যোগ যখন আসে চতুর্দিক থেকেই আসে। একদিকে মহামারি করোনা ভাইরাস অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আগাম সবজি চাষ করতে পারছিনা আমরা। এছাড়াও শ্রমিক সংকটের কথা না বললাম।মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে জীবনকে বাঁচাতে যেভাবে যুদ্ধ করতে হচ্ছে আমাদের। ঠিক সেভাবেই আগাম সবজি চাষ করার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝড়-বৃষ্টি সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।’ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেবনাথ জানান,উপজেলায় তিন হাজার ছয়শ পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।যার মধ্যে কাঞ্চননগর, দৌলতপুর,পাইন্দং ও রোসাংগিরিতে ৭শ হেক্টর জমিতে আগাম লালশাক,মুলাশাক ও বেগুন চাষাবাদ শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদেরকে বিভিন্ন রকমের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।