চকরিয়ায় সামাজিক বনায়নের গাছ-পাহাড় লুটের মচ্ছব

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »

চকরিয়া উপজেলার সামাজিক বনায়নের গাছ নিধনের পর পাহাড়ের পাদদেশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন বনায়নের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ড্রেজারে চক্রটি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পর নির্দিষ্ট স্থানে মজুদ করছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে ডাম্পার ট্রাক দিয়ে বিভিন্নস্থানে পাচার অব্যাহত রাখলেও বনবিভাগ রহস্যজনকভাবে নিরব ভুমিকা পালন করে চলেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। বিষয়টির আলোকে আইনি প্রতিকার চেয়ে কয়েকদিন আগে সামাজিক বনায়নের অংশিদার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন বাদি হয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটিতে ছয়জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও বেশ কজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীস্থ ফুলছড়ি রেঞ্জের অধিন খুটাখালী বনবিটের সংরক্ষিত বন্ঞ্চালের পাগলির বিল হারগাজা ছড়ার (খাল) মাথা নামক এলাকায় চলছে এ বালু লুটের মহোৎসব। অভিযোগ উঠেছে, বালু লুটের স্থানটি খুটাখালী বনবিট ও ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের অংশে পড়ায় সংশ্লিষ্ট দু’পক্ষই বালুদস্যুদের কাছ থেকে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে এ বালু লুটের সুযোগ করে দিলেও এর দায় নিচ্ছেননা কেউ।বনায়নের উপকারভোগী মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, গত ২০১১-১২ সনে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজার ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নামে খুটাখালী মৌজার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৫০ একর জায়গা বরাদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছ রোপন করে বাগান সৃজন করেন তারা। কিন্তু একই ইউনিয়নের বালুরচর এলাকার মৃত বাহার উল্লাহর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম পুতু, একই ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আয়াত উল্লাহ, একই এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে বেলাল উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন ও পূর্ব নতুনপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসাইনের ছেলে আমিন উদ্দিন এবং আরো অন্যান্য লোকজন উপকারভোগীদের বনায়ন দখল করে বাগানের বৃক্ষ নিধন করে উজাড় করে ফেলে। পরবর্তীতে ওই চক্রটি বাগান ভুমিতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের পর তা গাড়ি দিয়ে লুট করে নিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, বালুদস্যুরা তাদের এ অনৈতিক কাজে আবারো কেউ বাধা দিলে তাকে হত্যার হুমকিও দেন। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।খুটাখালী বিট কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ডিএফও স্যারের নির্দেশে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ঘটনাস্থলে বালুর বিশালাকার একটি স্তুপ পাওয়া গেলেও কোন ড্রেজার মেশিন ও বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি।