মাহাথির মোবারক :
একটি ছোট্ট জলাশয়ের পাশে ছিলো একটি বড় বন। বনটিতে বাস করতো বিভিন্ন প্রাণি। বনটি ছিলো অনেক সুন্দর। চারিদিকে সবুজ গাছ-পালার ছিলো এক মনোমুগ্ধকর সমারোহ! আর সে বনেই বাস করত একটি দুষ্ট ব্যাঙ আরেকটি ইঁদুর। ইঁদুরটি ছিলো অনেক ভালো। সে বনের সব প্রাণিদের সাথেই মিশতো খেলা করত কিন্তু এদিকে দুষ্ট ব্যাঙের সাথে কেউ মিশতো না কেউ তার সাথে কথা বলতো না সে হিংসুটে বলে। ইঁদুরের সাথে সবাই মিশে বলে তাই ইঁদুরের প্রতি তার হিংসা জাগলো। সে ভাবতে লাগলো ইঁদুরটিকে কি করে মেরে ফেলা যায়? তাই ব্যাঙটি তার মাথায় দুষ্ট দুষ্ট বুদ্ধি আঁকতে থাকলো। হঠাৎ একদিন তার মাথা অনেক দুষ্ট একটা বুদ্ধি এলো যে, সে ইঁদুরের সাথে আগে গভীর বন্ধুত্ত গড়ে তুলবে। তারপর সে ইঁদুরকে মেরে ফেলবে। ঠিক তাই হলো দুষ্ট ব্যাঙটি ইঁদুরের সাথে ভালো বন্ধুত্ব করে ফেললো। ইঁদুরও তার দুষ্ট ফন্দি বুঝতে না পেরে তার সাথে বন্ধুত্ব করলো। এখন থেকে ব্যাঙ আর ইদুর অনেক ভালো বন্ধুত্তের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলো। দু’জন এক সাথে খায়-দায় ফুর্তি করে। কিন্তু এই আনন্দ ফুর্তির মাঝেই দুষ্ট ব্যাঙটি একসময় ইঁদুরকে বলল, বন্ধু! নাও আমরা রশি দিয়ে অনেক মজার একটা খেলা করি। ইঁদুর ব্যাংঙের কথায় রাজি হয়ে গেলো। তখন দুষ্ট ব্যাঙটি ইঁদুরের পায়ে একটা রশি বেঁধে ঐ রশির মাথাটা তার নিজের পায়ের সাথে বাঁধলো। তারপর দুইজন ছোট্ট জলাশয়ের পাশে খেলা করতে লাগল। খেলা করতে করতে একসময় দুষ্ট ব্যাঙটি ইঁদুরকে নিয়ে জলাশয়ের ভেতর লাফিয়ে পড়ল। এমন সময় পানি দেখে ইঁদুরটি অনেক কাঁদতে লাগল,আর বললো, বন্ধু আমাকে মেরো না আমি এই বন ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাবো । আর কোন দিন এবনে আসবো না আমাকে ছেড়ে দাও। কিন্তু দুষ্ট ব্যাঙটি ইঁদুরের কোন কথায় কান না দিয়ে পানির ভেতর ডুব দিলো। এভাবে কিছুক্ষণের পানির মাঝে ইঁদুরটা হাবুডুবু খেতে খেতে একসময় দম আটকে মরে গিয়ে পানির ওপর ভেসে উঠল। ঠিক তখনই জলাশয়ের ওপর দিয়ে একটি রাক্ষুসে চিল যাচ্ছিল।
তখন ইঁদুরটিকে পানির ওপর দেখে তার পায়ে বাঁধা রশিতে ছোঁ মেরে ইঁদুরটিকে নিয়ে গেলো। তারপর দেখতে পেলো ইঁদুরের পায়ের সাথে একটি দুষ্ট ব্যাঙও বাঁধা রয়েছে। তখন চিলটি ইঁদুরটাকে ছেড়ে দিয়ে দুষ্ট ব্যাঙটাকে
অনেক মজা করে খেয়ে ফেলল।























































