পর্যটকদের চাহিদার আলোকে সাংস্কৃতিক অঙ্গন সাজানো হবে

কক্সবাজারে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, কক্সবাজারে সাংস্কৃতিকচর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। আধুনিক ও যুগ উপযোগী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এখানে। মন্ত্রী বলেন, পর্যটকদের বিনোদনের আলোকে কক্সবাজারে সাংস্কৃতিক অঙ্গন সাজানো হবে। প্রতিমন্ত্রী খালিদ গতকাল কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন ও বঙ্গবন্ধু জন্মবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে শুদ্ধসংস্কৃতির বার্তা নিয়ে যেতে হবে। সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের গতিশীলতা ভিন্ন আঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি সমন্বয় করে পরযটকদের সামনে তুলে ধরতে হবে, যাতে বিদেশি পর্যটকেরা কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেই পুরো বাংলাদেশের সংস্কৃতির স্বাদ গ্রহণ করতে পারে। বিশেষত কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাপ্তাহিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাাসক (সার্বিক) মাসুদুর রহমান মেল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং আই খেন প্রমুখ।
বিকেলে বিচের লাবনী পয়েন্টে মনোজ্ঞ ঘুড়ি উড়ানো উৎসব পালন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী ঘুড়ি উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এ সময় মুজিব শতবর্ষের লোগো সংবলিত রঙ-বেরঙয়ের ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর মধ্যে রাখাইন ও চাকমা নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন। বিজ্ঞপ্তি