চট্টগ্রামে একদিনে ২৬০ করোনা রোগী

আক্রান্তের সংখ্যা হাজার অতিক্রম করলো

নিজস্ব প্রতিবেদক »

রেকর্ড করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে একদিনে। এর আগে গত মঙ্গলবার একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৮ জন। আর বুধবার তা ছাড়িয়ে আক্রানেত্মর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৬০ জনে। এই ২৬০ জনের মধ্যে মহানগরীর ২২৫ জন ও উপজেলার রয়েছে ৩৫ জন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে ৭৯৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২৭৭ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের ২৬০ জন, বাকি ১৭ জন ভিন্ন জেলার। চট্টগ্রামে নতুন করে ২৬০ জন আক্রান্ত হওয়ায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ১৯৮ জন। এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছে ১২৭ জন ও মারা গেছেন ৪৪ জন।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৩৯টি নমুনার মধ্যে ৪১টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৪১টি পজিটিভের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩২টি ও উপজেলার ৯টি। উপজেলার মধ্যে রয়েছে চন্দনাইশের ছয় জন, বোয়ালখালীর একজন ও আনোয়ারার দুই জন।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার ৯৬টি নমুনার মধ্যে ২৮টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২৮টির মধ্যে ১৯টি মহানগরীর এবং ৯টি উপজেলার। উপজেলার মধ্যে রয়েছে বোয়ালখালীর দুই জন, রাঙ্গুনিয়ার পাঁচ জন ও পটিয়ার দুজন। এছাড়া গত ১৯ মে মঙ্গলবার ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০টি নমুনার মধ্যে ২০টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২০টির মধ্যে তিনজন রাঙ্গুনিয়ার এবং বাকি ১৭ জন ভিন্ন জেলার।

অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৮টি নমুনার মধ্যে ৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ছয় জনের পাঁচ জন সাতকানিয়ার এবং একজন লোহাগাড়ার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল বুধবার ১৭০টি নমুনার মধ্যে ৮১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৭৯ জন ও উপজেলার দুই জন। উপজেলার মধ্যে রয়েছে রাঙ্গুনিয়ার একজন ও পটিয়ার একজন। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গত মঙ্গলবারের (১৯ মে) ২০৩টি নমুনার মধ্যে ১০১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৯৫টি মহানগরীর এবং ৬টি উপজেলার। উপজেলার মধ্যে লোহাগাড়ার একজন, হাটহাজারির একজন, পটিয়ার দুই জন, সাতকানিয়ার একজন ও বোয়ালখালীর একজন রয়েছেন।

এদিকে নতুন করে ২৬০ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১,১৯৮ জন। এর আগে ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।