২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ২০৪, শনাক্ত ৮৪৮৯

সুপ্রভাত ডেস্ক »

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশে আট হাজার ৪৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এর আগে, গত ১১ এপ্রিল এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ২৩০ জন মারা গিয়েছিল। গতকাল করোনায় ১৮৭ জন, গত পরশু ২২৬ জন ও তার আগের দিন  ২১০ জন মারা গিয়েছিল।

এ পর্যন্ত দেশে ১৭ হাজার ৬৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জন। গত ১২ এপ্রিল দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ২৯ হাজার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও আট হাজার ৪৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ।

আজ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২০৪ জনের মধ্যে ১২৫ জন পুরুষ ও ৭৯ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে দুই জনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে, পাঁচ জনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ২৫ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ৫৮ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৫১ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ৩৫ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, ১৫ জনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ও একজনের বয়স ৯১-১০০ বছরের মধ্যে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট বিভাগে এ সময়ে সবচেয়ে কম দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে পাঁচ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ চার হাজার ৪৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ৮৮৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৮৯ জন, খুলনা বিভাগে ৫৩৯ জন, রংপুর বিভাগে ৩৩০ জন, সিলেট বিভাগে ৩৪১ জন, বরিশাল বিভাগে ১৫৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

একই সময়ে দেশে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৮২০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।