১০৪৯ নমুনায় ১৯২ জন শনাক্ত

২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেলেন ৩ জন, সুস্থ ৫৯ #

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে একদিনে হাজার পার হওয়া নমুনার ফলাফল আগে হয়নি। রোববার ১০৪৯ নমুনায় ১৯২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে রোববার (২১ জুন) ১০৪৯টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৯২ জনের। এই ১৯২ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২১ জন ও উপজেলার ৭১ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮৪ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৪৩ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৬৯৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে তিন জন এবং সুস্থ হয়েছে ৫৯ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৭০টি নমুনার মধ্যে ৪৭টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৪৭ জনের মধ্যে ১৭ জন মহানগরের এবং ৩০ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮৮টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৫৭ জনের, এদের মধ্যে ২৬ জন নগরীর এবং ৩১ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৩০৩টি নমুনার মধ্যে ৫২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ৫২ জনের মধ্যে ৪৬ জন নগরীর এবং ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০টি নমুনার মধ্যে ৯ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৯ জনের মধ্যে ৭ জন মহানগরীর এবং ২ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ১৮৪টি নমুনার মধ্যে ২৬ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে, এদের মধ্যে ২৫ জন মহানগরীর এবং একজন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৪টি নমুনার মধ্যে একজন পজিটিভ হয়েছেন, তিনি উপজেলার বাসিন্দা।
উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৭১ জনের মধ্যে সাতকানিয়ার দুইজন, বাঁশখালীতে দুইজন, আনোয়ারা ১১ জন, চন্দনাইশে ৫ জন, পটিয়ায় ৮ জন, রাউজানে ৭ জন, ফটিকছড়িতে ২০ জন, হাটহাজারিতে ৫ জন, সীতাকু-ে ৪ জন ও সন্দ্বীপের ৭ জন রয়েছেন।
এদিকে রোববার নতুন করে ১৯২ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৬,৪৮৪ জন। এর আগে ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন (কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন (রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন (ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।