হারজিৎ

জাহেদুল আলম

পারভীনের এসএসসি’র রেজাল্ট হলো। সে ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করলো। আনন্দে আমি আত্মহারা। আমার পরের ব্যাচে একই কলেজে ভর্তি হয়েছে, মানবিক বিভাগে। আমি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। কলেজে যেদিন ভর্তি হতে আসলো, সেদিন কথা না-বলে থাকতে পারলাম না। দীর্ঘদিন পর কথা হলো। পারভীনের সাথে আমার প্রথম কথা হয় প্রায় একযুগ আগে। আমার চতুর্থশ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সময়। তার আগেও টুকটাক কথা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু স্মৃতিতে আছে আমার চতুর্থশ্রেণি থেকে পঞ্চমশ্রেণিতে যাওয়ার বার্ষিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনের ঘটনা। একই বেঞ্চে দুই শ্রেণির দুজন করে বসিয়েছেন আমাদের শিক্ষকগণ। সেই সময় তো প্রাইমারি স্কুলে প্রবেশপত্র, সিট এসবের প্রয়োজন ছিল না। শিক্ষকগণ যেভাবে বসতে বলতেন, আমরা সেভাবে বসতাম। বেঞ্চের এক মাথায় চতুর্থশ্রেণির আমার এবং অন্য মাথায় তৃতীয়শ্রেণির পারভীনের বসার ব্যবস্থা হলো। দ্বিতীয় দিন ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। তখন একই দিন সব শ্রেণির একই বিষয়ে পরীক্ষা হতো।
পারভীনের সাথে আমার অন্তরঙ্গ কথা বলার সূত্রধার হলেন পরিমল স্যার। তিনি পারভীনদের টিউটর ছিলেন। পারভীনের পিতা ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে চাকরিরত। তখন বলা হত দুবাইওয়ালা বা মিডলইস্টওয়ালা। পারভীনদের ভাইবোন সবাইকে পরিমল স্যার পড়াতেন। শিক্ষকদের কাছেও তিনি ঈর্ষনীয় ছিলেন। কেননা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সাধুর বাজারে একটি মুদি দোকান চালাতেন এবং দুবাইওয়ালার বাড়িতে মাস্টারি করতেন। পারভীনের পিতা পরিমল স্যারের ওপর অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভরশীল ছিলেন। ফলে পারভীনদের ঘরে গৃহস্থালী কেনাকাটা সবকিছু পরিমল স্যারের মাধ্যমেই হতো। স্যারও নিজের দোকান থেকে সবকিছু সরবরাহ করতেন। গ্রোসারি, কসমেটিকস ও স্টেশনারি জিনিসপত্র ছিল সরবরাহের প্রধান তালিকায়। কিন্তু আমার কাছে পরিমল স্যার ছিলেন নায়কোচিত্র ব্যক্তি। তাঁর চুলের স্টাইল, বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা, মানানসই গোঁফ, শার্ট-প্যান্ট পরিধান করে স্কুলে আসা ইত্যাদি আমাকে আকর্ষণ করত। স্কুলে আসতেন সাইকেল চালিয়ে। সাইকেল চালিয়ে স্যার যখন আসতেন তখন তাঁর চুলগুলো যেভাবে বাতাসে উড়ত; আমি হা করে তাকিয়ে দেখতাম। তাঁর কণ্ঠস্বরও ছিল চমৎকার। মাঝে-মাঝে আমাদের সাথে খেলতেও নেমে যেতেন। সেটা ফুটবল খেলার সময়ই বেশি হতো।
আমার এই নায়ক পরিমল স্যার চতুর্থশ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন একটা কা- করলেন। পারভীনের টিউটর হিসেবে স্বজনপ্রীতিবশত তিনি মাঝে-মাঝে এসে পারভীনের খাতা দেখে যাচ্ছেন এবং খাতায় ভুল থাকলে সেটা মুখে বলে শুধরে দিচ্ছেন। তিনি খুব দ্রুততার সাথে কাজটা করছিলেন, যেহেতু পরীক্ষার হলে আরও শিক্ষক আছেন। কিন্তু স্যারের সাথে পারভীন তাল মিলাতে পারছিল না। এবার স্যার একটা কা- করলেন। আমার বামবাহু ধরে আস্তে করে টেনে বেঞ্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। আর পারভীনের ডানবাহু ধরে তাকেও বিপরীত দিক থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত নিয়ে আসলেন। অত্যন্ত নিচু গলায় পারভীনকে বললেন, কোথাও ভুল লিখেছ মনে হলে জমিরকে দেখিয়ে নিও। আমি স্যারের দিকে চোখ তুললাম। স্যার চোখের ইঙ্গিতে আমাকে নির্দেশনা দিলেন। নীতি-নৈতিকতাজ্ঞান তখন কাজ করেনি আমার, বা বোধ তৈরি হয়নি। মিয়াদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় স্বজনপ্রীতি করা বা টিউশনির ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষায় সহযোগিতা করা তখন গা-সহা ব্যাপারের মতা ছিল অনেকটা।
একই বেঞ্চে পাশাপাশি ও কাছাকাছি বসে দুই শ্রেণির দুই ছাত্রছাত্রী লিখছি। হঠাৎ খেয়াল করলাম, মিষ্টি একটা গন্ধ আমার চারপাশে ভুরভুর করছে। কিছুক্ষণ পর পারভীন তার খাতার দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো ইংরেজি ‘এইট’ বানান ঠিক আছে কিনা নিচুস্বরে জানতে চাইল। বললাম। পারভীনের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে এনে নিজ খাতায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম। একটা বাক্য কোনো রকমে লিখে শেষ করলাম। আমাকে আবার পারভীনের দিকে তাকাতে হলো। না, এবার আর পারভীন আমাকে ডাকেনি। কিংবা বলা যায়, পারভীনের আহ্বান। পারভীন এমনিতেই সুন্দরী। তার টানা-টানা চোখের চাহনি যে-কাউকেই আকর্ষণ করবে। কিছুক্ষণ আগে ‘এইট’ বানান ঠিক আছে কিনা দেখতে গিয়ে তার সেই চোখের দৃষ্টি খুব কাছ থেকেই দেখলাম। সেই দৃষ্টিই আমাকে আবার তার দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে। আমি পারভীনের দিকে তাকিয়ে আছি। সে লিখছে। কি চেহারা! কি চোখ! কি সুন্দর ঠোঁট! আহা! তাকিয়ে আছি তো তাকিয়ে আছি। সংবিৎ ফিরল তার ডাকে। দেখি সে আমার চোখাচোখি তাকিয়ে আছে। বললো, লিখছেন না? আমি তখনো তাকিয়ে আছি। আহা! কণ্ঠস্বরটাও কি সুমধুর! মিষ্টি সুগন্ধটা তখনো আমার চারপাশে ঘুরছে। আরও দুই-এক বাক্য লিখতে না লিখতেই সে আবার আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। আবারও তার খাতার দিকে ইঙ্গিত করলো এবং এবার আমার দিকে আরেকটু সরে আসলো। মিষ্টি সুগন্ধটা এবার নাকে ঝাপটা দিল। সাথে-সাথে বুঝতে পারলাম, সুগন্ধটা পারভীনের কাছ থেকে আসছে। আমি আরও স্বপ্নীল আবেশে ডুবে গেলাম। সেই সময় পারফিউম ব্যবহারের প্রচলন খুব একটা ছিল না। তিব্বত স্নো-পাউডারই ছিল ভরসা। সেসবও ব্যবহার করতেন মা-খালা-চাচী-জ্যাঠিরা। সদ্যবিবাহিতা বা বিবাহযোগ্য তরুণীরাও ব্যবহার করতেন। পারভীনের পিতা যেহেতু দুবাইওয়ালা ছিলেন, তিনি দেশে আসার সময় সেখান থেকে কসমেটিকস নিয়ে আসতেন। সেগুলোর কোনো একটা হয়তো সে লাগিয়েছে, গায়ে বা কাপড়ে।
পরদিন আমি পড়ি-মরি করে স্কুলে হাজির হলাম। গিয়ে দেখি আমার আগেই পারভীন এসে বসে আছে। আজ আরও সুন্দর লাগছে তাকে। দুবাইওয়ালার কন্যা হওয়াতে নিত্যনতুন ও দামি কাপড় পরতো তারা সব ভাইবোন। আমি বসতে না বসতেই দেখি আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। সেদিন কে আগে কথা বলেছি, মনে নেই। কি কথা বলেছি, তা-ও মনে নেই। তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত অনেকক্ষণ কথা বলেছি। যে কয়দিন বার্ষিক পরীক্ষা চললো, পরীক্ষার আগে কিছুক্ষণ কথা বলা, পরীক্ষার সময় অনেকটা ঘনিষ্ঠ হয়ে তার খাতায় ভুল শুধরে দেয়া, পরীক্ষা শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে যতক্ষণ সম্ভব একসাথে হাঁটা চলতে থাকলো এবং বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমার মধুর সময়ের যবনিকাপাত হলো। তবে আমার শয়নে-স্বপনে-জাগরণে পারভীন অনেকটা জায়গাজুড়ে বিরাজ করতে থাকলো।
যথারীতি বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো। আমি চতুর্থশ্রেণি থেকে পঞ্চমশ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলাম। আর পারভীন তৃতীয়শ্রেণি থেকে চতুর্থে। কিন্তু আমার ফলাফল বিপর্যয় হলো। তৃতীয়শ্রেণিতে আমার রোল ছিল এক। চতুর্থে এসে দুই। এখন পঞ্চম শ্রেণিতে উঠলাম রোল তিন হয়ে। কেউ কেউ অবাক হলো, মা-বাবা ঠিক হিসাব মেলাতে পারছেন না। শিক্ষকদের কেউ কেউ বললেন, তোর রোল নাম্বার এভাবে পেছাচ্ছে কেন? একজন বললেন, পড় বাবা, ভালো করে পড়, হাই স্কুলে গেলে তো আরও কঠিন পড়া। পরিমল স্যার কি কিছু বুঝেছেন?
আনন্দ-বেদনাঘোর, ভালোলাগা, ঝগড়াঝাটি, সহপাঠীদের টিপ্পনি-টিটকারি ইত্যাদি দীর্ঘ এক বছর সহ্য করে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে হাই স্কুলে ভর্তি হলাম। আমার হাই স্কুল জীবনের প্রথম বছর পারভীনের সাথে দেখা হয়েছে মাত্র হাতেগোনা কয়েকদিন। স্কুলের সময়সূচির কারণেই এমনটা হয়েছে। অবশেষে পারভীনের সাথে আবার নিয়মিত দেখা হতে লাগলো, যখন আমি সপ্তমশ্রেণিতে উঠলাম। পারভীন এবার হাইস্কুলে ভর্তি হলো ষষ্ঠশ্রেণিতে। তবে দুজনের স্কুল ভিন্ন। আমারটা বালক বিদ্যালয়, তাদেরটা বালিকা বিদ্যালয়। দেখা হচ্ছে সত্য, কথা হচ্ছে না। আমরা ছেলেরা যেমন দলবেঁধে স্কুলে যাই, পারভীনরাও তেমনি মেয়েদের সঙ্গে দলবেঁধে স্কুলে যায়। এই পরিস্থিতিতে একজন আরেকজনের সাথে কথা বলা অসম্ভব। কাজের কাজ শুধু চোখাচোখি হওয়া ও পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া। এসব হতো আমার উদ্যোগেই। আমি বিভিন্ন কৌশলে পারভীনের যাওয়া-আসার সময়কে ফাঁদে ফেলতাম। যেন তাকে একটিবার দেখি, একটিবার সে যেন আমার দিকে তাকায়।
এভাবে চলল দুই বছর। নবমশ্রেণিতে ওঠার পর একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাহস করে তার সাথে কথা বললাম। রাস্তাটা যেখানে এসে দুজনার দুটি পথ হয়ে গেছে, সেখান থেকে আমি নিজের পথে না নেমে তার পথরেখায় চলে গেলাম পিছু-পিছু। দেখি সেও হাঁটার গতি কমিয়ে দিয়েছে। পাশে তো গেলাম! কিন্তু কি বলবো খেই হারিয়ে ফেলেছি। কি কথা হয়েছিল সেদিন, তাও মনে নেই। শুধু তার মায়াবী চাহনি, ভুবনভুলানো হাসি আর রিনিঝিনি কণ্ঠ আমার মনে-মগজে মেখে নিয়ে আসলাম। সাথে মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত পারফিউমের সুবাস।
এভাবে চললো আরও দেড় বছর। এসএসসি’র নির্বাচনী পরীক্ষা দেয়ার পর যখন আমার কোচিং শুরু হলো, তখন আমি পরীক্ষার আতঙ্কে না থেকে ফুরফুরে মেজাজে ছিলাম। দীর্ঘ পাঁচবছরের সাতঘণ্টা ক্লাসের পরিবর্তে মাত্র চারঘণ্টা ক্লাশ। বিকাল বেলা হাঁটতে-হাঁটতে তিন রাস্তার মোড়ে গিয়ে পলাশ গাছের নিচে দাাঁড়িয়ে থাকতাম স্কুল ফেরত পারভীনকে একনজর দেখার জন্য। শুধু দেখা ও চোখাচোখি হওয়াতেই সীমাবদ্ধ। তাতেই কি আনন্দ। তার সহপাঠী এবং দুই স্কুলের স্কুলফেরত ছাত্রছাত্রীদের এতোগুলো চোখকে ফাঁকি দিয়ে কথা বলার সুযোগ হতো না।
অবশেষে এসএসসি পাস করলাম। তেষট্টিজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র দশজন ফার্স্ট ডিভিশন পেল। আমি পেলাম সেকেন্ড ডিভিশন। নাম্বার পেলাম চারশ ছিয়াশি। আর মাত্র চৌদ্ধ নম্বর পেলে উৎরে যেতাম। ফার্স্ট ডিভিশন পেতাম। রেজাল্ট আউটের পর একদিন স্কুলফেরত পারভীনের সাথে সাহস করে কথা বলেই ফেললাম। আমার রেজাল্ট জানালাম তাকে। বললো, ‘আমি খবর নিয়ে জেনেছি’। বললাম, রেজাল্টটা খারাপ হয়ে গেল। সে বললো, ‘ইন্টারমিডিয়েটের রেজাল্ট ভালো করে দেখিয়ে দিয়েন, তাহলেই হবে। মন খারাপ করিয়েন না’। পারভীনের এই কথাতেই প্রাণ ফিরে পেলাম। মেজাজ ফুরফুরে হয়ে গেল। কলেজে ভর্তি হয়ে প্রথম ক্লাস যেদিন করলাম, সেদিন পারভীনের সাথে আবার কথা বললাম। আমার গায়ে ছিল নতুন প্রিন্টেড শার্ট। পারভীন বললো, ‘আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে’। তার এই মন্তব্যে সেদিন যেন আমার ডানায় পালক গজিয়েছে। হাওয়ায় উড়ে বেড়াচ্ছি যেন। সেদিন বিকালে ফুটবল খেলায় ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলেও একটা গোল করে ফেললাম। ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে করেছি গোলটা। তিন-দুই গোলে জিতেছিলাম সেদিন।
যেহেতু কলেজে পড়ি এবং ফার্স্ট ইয়ারে, সেহেতু আমার সবকিছুতেই উচ্ছলতা, উদ্দামতা। সাহস বেড়েছে অনেক। ফলে কলেজে যাওয়া-আসার পথে পারভীনের সাথে বিভিন্ন কৌশলে একটা-দুইটা কথা হতে থাকলো। তার টেস্ট পরীক্ষা পরবর্তী কোচিং শুরনু হলে কথা বলায় ভাটা পড়লো। কারণ, কোচিং ক্লাস মাত্র চার ঘণ্টার।
পারভীনের এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরীক্ষাকেন্দ্রের ফটকে দাঁড়িয়ে থাকলাম। দেখা হলো, চোখাচোখি হলো। পরীক্ষা যতদিন চললো, ততদিন তাকে দেখলাম। যেই পরীক্ষা শেষ, তাকে দেখার আর কোন উপায় থাকলো না। কি যে কষ্টে কেটেছে তিন-তিনটা মাস। অহেতুক তাদের বাড়ির আশপাশ দিয়ে হেঁটে যেতাম। যদি তাকে এক নজর দেখতে পাই!
পারভীনের এসএসসি’র রেজাল্ট হলো। সে ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করলো। আনন্দে আমি আত্মহারা। কলেজে যেদিন ভর্তি হতে আসলো, সেদিন কথা না বলে থাকতে পারলাম না। এক পর্যায়ে সে বললো, এসএসসি পরীক্ষায় আপনার চেয়ে আমার রেজাল্ট ভালো হয়েছে। আপনি বলছেন আপনাকে আমি হারিয়ে দিয়েছি। কিন্তু, জমির ভাই, আপনাকে হারিয়ে তো আমার আনন্দ লাগছে না। আমি আপনার কাছে হারতে চাই। আপনার জয়লাভেই যে আমার আনন্দ। আপনার কাছে হেরেই তো আমার জয়লাভ।