সৃজিতের নতুন সিনেমায় অভিনয় করলেন উত্তম কুমার!

সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »

বাংলার মহানায়ক উত্তম কুমার অভিনয় করছেন সৃজিত মুখার্জির নতুন সিনেমায়! তাও সেটি জানা গেলো প্রয়াত নায়কের ৯৫তম জন্মদিনে (৩ সেপ্টেম্বর)। সৃজিত প্রকাশ করলেন ছবিটির পোস্টারও। নাম ‘অতি উত্তম’। যাতে বড় হরফে লেখা- মহানায়ক উত্তম কুমার অভিনীত…।
২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টায় মহানায়কের জন্মদিনের প্রথম প্রহরে সৃজিত উপহার দিয়েছেন তার নতুন এই সিনেমার একটি পোস্টার। যাতে উত্তম কুমারের ছবিটি স্থান পেয়েছে বড় করে। নিচে রয়েছে ছোট করে সহশিল্পীদের ছবিও। ছবিটির পোস্টার ডিজাইন দেখলে যে কেউ ফিরে যাবেন বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে। পুরো ডিজাইন, ফন্ট আর উপস্থাপনে রয়েছে ৬০-৭০ দশকের আদল।
ছবিটি যে উত্তমকে ঘিরে নয়, বরং এতে উত্তম কুমার নিজেই অভিনয় করেছেন সেটি ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন সৃজিত। বলেন, ‘‘উত্তম কুমারকে নিয়ে ধারাবাহিক হয়েছে। ছবিও হয়েছে। আমার ‘অতি উত্তম’ তাকে নিয়ে নয়। এটি তার অভিনীত একটি ছবি।’’
‘অতি উত্তম’ কি তবে মহানায়কের বায়োপিক? এখনই সেই রহস্য উন্মোচন করতে রাজি নন সৃজিত। কারণ, গত ১০ বছর ধরে প্রতি ৩ সেপ্টেম্বর এলেই সৃজিত মুখার্জির পক্ষ থেকে একটি প্রশ্নই আছড়ে পড়ে সবার কাছে- আপনার চোখে উত্তম কুমার ঠিক কী? আপনার ‘উত্তম অনুভূতি’ কেমন? সম্ভবত তারই উত্তর পাওয়া যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী পরিচালক সৃজিতের ‘অতি উত্তম’ থেকে।
ছবিটির ভেতরে কী আছে সেটি মুখ্য হলেও, আপাতত নেটিজেনরা মুগ্ধ হয়ে আছেন এর পোস্টারশৈলী দেখে। ৪০ বছর পরেও যে পোস্টারজুড়ে এক ও অদ্বিতীয় উত্তম কুমার।
জানা গেছে, এই ছবির প্রস্তুতি হিসেবে গত ৪ বছর ধরে উত্তম কুমারের ৬২টি ছবি দেখেছেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন এমনভাবে, যেখানে মহানায়কের পুরনো সিনেমার ফুটেজ দিয়েই তার অভাব পূরণ হবে। এ ছাড়াও ছবিতে থাকছেন, মহানায়কের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, রোশনি ভট্টাচার্য, জিনা, লাবণি সরকার, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়সহ দুই প্রজন্মের একাধিক নতুন-পুরনো অভিনেতা।
প্রযোজনায় ক্যামেলিয়া প্রডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড। নিবেদনে রূপা দত্ত। সহ-প্রযোজক ছায়াবাণী প্রাইভেট লিমিটেড এবং ম্যাচকাট প্রডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড। কাহিনি ও চিত্রনাট্য পরিচালক নিজেই করেছেন।
ছবিটির নির্মাণ অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সৃজিত সোশ্যালে লিখেছেন, ‘মহানায়কের ছবির প্রতিটি ফ্রেম খুঁটিয়ে দেখার পাশাপাশি চিত্রনাট্য বদলেছি বারবার। ছবিগুলোর স্বত্ব নিতে গিয়ে পা রেখেছি শহরের বহু সরু গলি, পুরনো অফিসে। ভিএফএক্স বিশেষজ্ঞ, সিনেমাটোগ্রাফার, সাউন্ড ডিজাইনারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। তারই প্রতিফলন ঘটেছে আমার আগামী ছবিতে।’