সীতাকুণ্ডে প্রাণ হারালেন রাঙামাটির দুই ফায়ারকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি

সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই ফায়ার সার্ভিসকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের বাড়ি পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে। এরা হলেন মিঠু দেওয়ান (৫০) ও নিপন চাকমা। এদের মধ্যে মিঠু দেওয়ানের মরদেহ শনাক্ত করতে পারলেও নিপন চাকমার মরদেহ এখনো শনাক্ত করতে পারেনি তাঁর স্বজনরা।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, শনিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের এ ঘটনা ঘটে। খবর জানতে পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম ও আশপাশের সকল ফায়ার স্টেশন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দুর্ঘটনার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফ্রন্টলাইনে কাজ করা কর্মীরা গুরুতর আহত হয়। এরমধ্যে ৭ জন কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আরও কয়েকজন কর্মী চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর রাঙামাটি সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় আমাদের মারা যাওয়া সদস্যদের পুড়ে যাওয়ার কারণে কারো মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে আগুন নেভানোর কাজে মিঠু দেওয়ান ও নিপন চাকমা দায়িত্বরত ছিলেন এবং তাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে তারাও রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেছেন। হয়তো ডিএনএ পরীক্ষা শেষে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং তারা মারা গেছেন কিনা তাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, মিঠু দেওয়ান ফায়ার সার্ভিস কুমিরা শাখা আর নিপন চাকমা সীতাকুণ্ড শাখায় লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মিঠু দেওয়ান রাঙামাটি জেলা শহরের পশ্চিম ট্রাইবেল এলাকার বাসিন্দা ও নিপন চাকমা কলেজ গেইট এলাকার বাসিন্দা।

মিঠু দেওয়ানের ভাই টিটু দেওয়ান রোববার বিকেল চারটায় জানান, ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে খবর দেয়ার পর রোববার সকালে আমার ছোট ভাই ও খালা চট্টগ্রাম মেডিক্যালে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আমাকে একটি ছবি পাঠিয়েছে, আমিও বলেছি এটাই আমার ভাই। আমার ভাইও তাকে শনাক্ত করতে পেরেছে। পরবর্তী কার্যক্রম শেষে তাকে রাঙামাটি নিয়ে আসা হবে।