সন্দ্বীপে শ্বশুরের লাথির আঘাতে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর

নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দ্বীপ »

অভাবের সংসারে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিয়ে হয় কুলছুমা-অন্তরের। বিয়ের কিছুদিন পরেই স্বামী আজিম উদ্দিন প্রকাশ অন্তর চাকরি করতে চলে যায় চট্টগ্রাম। স্ত্রী থেকে যায় স্বামীর মা-বাবার কাছে। কুলছুমার শ^শুর মো. নুর ইসলাম ছেলের বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে পুত্রবধূ কুলছুমার মানসিক নির্যাতন করতো। কুলছুমা এতে তেমন পাত্তা দিতো না। সংসারের ঝামেলার কথা প্রায় সে স্বামী অন্তরকে জানাতো। স্বামী অন্তর কুলছুমাকে গত ৬ এপ্রিল সকালে বাপের বাড়িতে চলে যেতে বলে। কুলছুমা প্রস্তুতিও নেয় বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার।

এ সময় শ^শুর নুর ইসলাম তার ৪ লাখ টাকা ঋণ আছে বলে তা পরিশোধ করার চাপ দিয়ে কুলছুমার পথ আটকায়। এ নিয়ে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে কুলছুমার শ^শুর নুর ইসলাম (৫২) কুলছুমার তলপেটে লাথি মারে। ফলে কুলছুমা তীব্র আর্তনাদে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় আশ-পাশের লোকজন স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক ডেকে আনে। সে অবস্থা খারাপ দেখে বড় চিকিৎসক দেখাতে বলে। সে অনুযায়ী তাকে স্থানীয় চিকিৎসক জব্বার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কুলছুমাকে (১৮) মৃত ঘোষণা করে।

কথাগুলো সন্দ্বীপ থানা কম্পাউন্ডে এভাবেই বললেন কুলছুমার পিতা মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, তার মেয়ে ১ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। কুলছুমার বাড়ি সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন চর উড়িরচরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার গো বাড়ি। আর তার স্বামীর বাড়িও উড়িরচরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুর ইসলামের বাড়ি। উড়িরচর পুলিশ এ ঘটনায় কুলছুমার শ^শুর নুর ইসলামকে আটক করে এবং কুলছুমা শাশুড়িকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এখনও ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি। পারিবারিক দ্বন্দের কারণেই এ হত্যাকা-। এ ঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।