‘সংস্কৃতি চর্চা শিক্ষার্থীদের আলোকিত করে’

চবি নাট্যকলা বিভাগের নাট্যোৎসব

মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী’র গৌরবোজ্জ্বল সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে দিনব্যাপী ৫ম নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল চবি ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত মঞ্চে এ নাট্যোৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

নাট্যোৎসবে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ ও বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্য। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন ও নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি শাকিলা তাসমিন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি, রাজনীতির আদিভূমি এ চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে জন্ম নিয়েছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী ও প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব। বিপ্লবীদের চারণভূমি এ চট্টগ্রাম; যাদের ত্যাগ অনস্বীকার্য। তিনি অপরূপ সৌন্দর্যের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতির ক্ষেত্র প্রসারের জন্য নাট্যকলার সাথে নৃত্যকলা, ফটোগ্রাফি, শিল্পকলাসহ অন্যান্য বিভাগ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র ফ্যাকাল্টি খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার জন্য উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী চবির এ উন্মুক্ত মঞ্চকে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সকল প্রকার সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেন।

উপাচার্য বলেন, একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে সংস্কৃতি চর্চা শিক্ষার্থীদের যেমন আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে তেমনি তাদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে হলভিত্তিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপাচার্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অন্ধকারের সকল অপশক্তিকে পদদলিত করে সবাইকে সাথে নিয়ে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। চবি নাট্যকলা বিভাগের প্রভাষক মামুনুল হকের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, সুধিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচিত হয়। অনুষ্ঠানে নাট্যকলা বিভাগের ¯œাতক সম্মান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত মো. সোলায়মানকে নাট্যজন শান্তনু বিশ^াস স্মৃতি বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং বৃত্তি প্রাপ্তকে শান্তনু বিশ্বাস রচিত পুস্তক উপহার হিসেবে প্রদান করেন প্রয়াত শান্তনু বিশ^াসের সহধর্মিণী শুভ্রা বিশ্বাস। বিজ্ঞপ্তি