শঙ্কা দূর হবে উপকূলবাসীর

আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল

৬৬% শেষ বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা <<
আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। আনোয়ারা উপকূলীয় বাসীর কাছে ঐতিহাসিক এক ভয়াল প্রলয়ংকরী দিন ২৯ এপ্রিল। সে থেকে উপকূলবাসীর দাবী ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার উপকূলবাসীর সুরক্ষায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির প্রচেষ্টায় বেড়িবাঁধের নির্মাণের ৫শ’ ৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দয়াল কুমার ত্রিপুরা জানান, আনোয়ারা উপকূলের তিনটি প্যাকেজের বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া খালের বেড়িবাঁধও নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৫শ’ ৭৭ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। করোনা ভাইরাসেও থেমে ছিল না উন্নয়ন কাজ। ইতিমধ্যে পুরো প্রকল্পের ৬৬% কাজ শেষ হয়েছে। আগামী একমাসের মধ্যে উন্নয়ন কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
বুধবার ২৮ এপ্রিল দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাইন্নার দীঘি, ফকির হাট, ঘাটকূল, বার আউলিয়া, উত্তর গহিরা, দক্ষিণ গহিরা, মধ্যম গহিরা, পরুয়াপাড়া ফুলতলী এলাকাসহ উপকূলে চলছে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। এ বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে উপকূলবাসীর জীবনযাপনের চিত্র।
স্থানীয় বিদ্যালয়ে প্রবীণ শিক্ষক মৌলানা আবদুর রহিম বলেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন একটি টেকসই বেড়িবাঁধের। আজ এ এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। এতে খুবই আনন্দিত। এখন ঘূর্ণিঝড় আসলে পানি উঠার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে যেতে হবে না। ধন্যবাদ জানাই বর্তমান সরকারকে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিন শরীফ জানান, ২৯ এপ্রিল দিনটি আসলেই শিউরে উঠি। এ দিনে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পরিবারের ভাই-বোনসহ আত্মীয়স্বজন অনেকেই মারা যান। সে আঘাতে বিলীন হয়ে যায় বসতভিটা ও কবরস্থান। সেদিন থেকে এলাকার মানুষের দাবি টেকসই বেড়িবাঁধের। আজ ভূমিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার এটি বাস্তবে রূপ দিয়েছে। এখন রায়পুরবাসী সুরক্ষিত। রায়পুরের মানুষ এখন আর ঘুর্ণিঝড়কে ভয় করে না। বেড়িবাঁধ পুরোপুরি নির্মিত হলে পাল্টে যাবে রায়পুরের চিত্রও।
রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, উপকূল রক্ষায় ভূমিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় সরকারের বরাদ্দকৃত কাজ যথাযথ বাস্তবায়ন ও শেষ হলে ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষের শঙ্কা দূর হবে। যে সব এলাকায় এখনো ব্লক বসানো হয়নি আগামী বর্ষার আগেই ব্লক বসানোর কাজ শেষ না করলে মানুষের শঙ্কা কাটবে না।