মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ করতে হবে : সুজন

প্রতীকী ছবি

নগরীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বধ্যভূমি সংরক্ষণ করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। ৭ ডিসেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নিকট এ অনুরোধ জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রেখেছিলেন চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর জনসাধারণ। তাছাড়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হওয়ায় চট্টগ্রাম স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার স্বাক্ষী। চট্টগ্রামের গুরুত্ব উপলব্দি করেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রেরিত স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটি পাঠান চট্টগ্রামে।

চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তাটি প্রথম পাঠ করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সারা দেশের জনগণ। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অল্প কিছুদিন পর আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে চললেও এতো বছরে চট্টগ্রামে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

চট্টগ্রাম পুরাতন সার্কিট হাউসটি মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মৃতি বিজড়িত স্থান। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার রক্ত এবং নির্যাতনের চিহ্ন বহন করছে এ ভবনটি। তৎকালীন বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশে এ ভবনের সম্মুখস্থ স্থানটিকে শিশু পার্ক বানিয়ে ভবনের প্রকৃত ইতিহাসকে আড়াল করা হয়েছে। তাই সার্কিট হাউসের সামনে থেকে শিশুপার্কটি অন্যত্র সরিয়ে সেখানে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগনের প্রাণের দাবী। পাশাপাশি সার্কিট হাউসটিকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরিত করলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীর ফিরোজশাহ কলোনী, ফয়েস লেক, হালিশহরের মধ্যম নাথপাড়া, শেরশাহ কলোনী, ঝাউতলা, ডালিম হোটেল, গুডস হিল, পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্পসহ আরো অনেক বধ্যভূমিতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বিহারীদের সহায়তায় বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করে। বিজ্ঞপ্তি