বিএনপি সমাবেশ ডাকলে পরিবহন মালিক-শ্রমিক আতঙ্কে থাকেন

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক »

‘বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা সবাই আতঙ্কে থাকেন। কারণ অতীতে ২০১৩-১৪ ও ’১৫ সালে বাস-ট্রাক পুড়িয়েছিল বিএনপি। বাস-ট্রাক ও জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা করেছিল তারা। সেজন্য মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকেন। সুতরাং এটার সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই।’

তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘট, সেটা তো প্রাইভেট অর্গানাইজেশন। সেখানে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, আওয়ামী লীগ সব দলের নেতা আছেন। সবাই মিলে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সমিতি। তারা সিদ্ধান্ত নেন তাদের নিজস্ব নানাবিধ কারণে।

শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শনে যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের জনসভায় ইনশাআল্লাহ লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে এখানে বিএনপি একটি সমাবেশ করেছিল। মাঠের তিনভাগের এক ভাগ বাদ দিয়ে একটি মঞ্চ করেছিল। বাকি দুইভাগের মধ্যেও অর্ধেক খালি ছিল। তারা যেভাবে বলেছিল আসলে সেই রকম মানুষ হয় নাই।

তিনি বলেন, পলোগ্রাউন্ডের কোনায় যে একটা কমিউনিটি হল আছে ওখানে আগে ভ্যারাইটি শো হতো। সেই ভ্যারাইটি শো’তে যে পরিমাণ মানুষ হতো তার চেয়ে একটু বেশি মানুষ হয়েছে বিএনপির সমাবেশে। চট্টগ্রামে জব্বারের বলী খেলায়ও বিএনপি’র সমাবেশের চেয়ে তিনগুণ বেশি মানুষ হয়।

বিএনপি সমাবেশ ডাকলে পরিবহন ধর্মঘটসহ সরকার বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে-মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমাদের সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল তারা। আমাদের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে হামলা হয়েছিল, বোমা-গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বিএনপি’র সমাবেশে আজকে পর্যন্ত কি একটি পটকাও ফুটেছে। সরকার সহযোগিতা ও নিরাপত্তা বিধান করছে বিধায় পটকাও ফুটে নাই।

এসময় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।