বনবিভাগের বাংলোতে ‘রূপালী’ আমের ফলন

এম. জিয়াবুল হক, চকরিয়া :

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট বাজারের অদূরে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় বর্তমানে রকমারি আম বাগানে পরিণত হয়েছে।

পাঁচ ফুট পরপর আমগাছ। প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুঁলে আছে ‘রূপালী’ আম। কোনো কোনো গাছে আমের ভারে ডাল মাটিতে নুয়ে আছে। আবার অনেক গাছের ডালপালা মাটি ছুঁয়ে গেছে।

বনবিভাগের এ কার্যালয়ের পাহাড়ি বাংলোতে ফলেছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। ফল আর ফুলে অফিস ও বাংলো সয়লাব। সঠিক পরিচর্যার কারণে বাগানটি বেশ সতেজ রয়েছে। দেখলে মনে হয় এ যেন পাহাড়ের বুকে কৃষি জমির আবহ। আমগাছের অন্যপাশে নজর কাড়া দৃষ্টিনন্দন বাগান। জানা গেছে, রাজশাহী থেকে সংগ্রহ করা ‘রূপালী’ জাতের এই আমগাছ বনবিভাগের কার্যালয়ে লাগিয়েছে। মূল ফটক থেকে বাংলোতে ডুকতেই গাছগুলো চোখে পড়ে। একবছর আগে রেঞ্জ কার্যালয় ও বাংলোর চারপাশে তিনশটি আমের চারা রোপণ করা হয়। রূপালী আম ছাড়াও হাঁড়িভাঙা, গোবিন্দভোগসহ বেশ কয়েকটি জাতের আমগাছ রয়েছে। ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী থেকে আনা রূপালী জাতের আম বাগানটি ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে সৃজন করেছে। কোনো গাছের বয়স এক বছর। আবার কোনোটি এক বছর তিন মাস। গাছগুলো চার থেকে পাঁচ ফুট বড় হয়ে ফলন এসেছে। প্রতিটি গাছে ৩৫ থেকে ৫৫টি আম ধরেছে।

বর্ষার শুরুতে গাছের আম পাকতে শুরু করবে বলে আশা করছে নার্সারি পরিচর্যায় নিয়োজিত এক বনকর্মী। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘একজন বনকর্মীর মাধ্যেম বিভিন্ন জায়গার নার্সারি থেকে আমসহ বিভিন্ন ফলজ চারা আনা হয়। নানা প্রজাতির ফুলের চারাও সংগ্রহ করে সৃজন করি। বিশেষ করে এক বছরের মাথায় চলতি বছর রূপালী জাতের আম গাছে মুকুল আসে। মুকুল থেকে ফলে পরিণত হয়ে প্রতিটি গাছের থোকায় থোকায় আম ধরেছে। গাছগুলোর সঠিক পরিচর্যার কারণে অনেক তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে।’ তিনি বলেন, ‘মূলত রাজশাহীসহ কয়েক জেলায় এই জাতের আমের চাষ হত। পাহাড়ের লাল মাটিতে আমরা এই আমগাছের চারা রোপণ করি। খাদ্য ও কৃষি নিয়ে কাজ একটি সংস্থাও আমাদের সহযোগিতা করেছে। এছাড়া ফুলের বাগানও করা হয়েছে। অনেকটা অফিসের সৌন্দর্য ও শখের বসে এ বাগান করা হয়।’ চকরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজীব দে বলেন, ‘রূপালী জাতের আম বিশেষ করে পরিপক্ক হয়ে    জ্যৈষ্ঠের শেষে দিকে পাকে। অনেক সময় দেরিও হয়। সঠিক পরিচর্যা করলে ১৫-২০বছর নিয়মিত ফল দেবে। এই জাতের আম পোকায় কম আক্রমণ করে। ফলে পুষ্ট হলে খুব সুস্বাদু ও রসালো হয়।’