ফিলিস্তিনে গণহত্যার দায় আমেরিকা ও তার মিত্রদের বহন করতে হবে

মহানগর আওয়ামী লীগের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পূর্ব সভা

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ফিলিস্তিন ভূমিতে দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে মার্কিনি ও পশ্চিমা দেশের মদতে যে বর্বরোচিত হামলা, বোমা বর্ষণ চালিয়ে বার বার গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধবাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। এটা মুসলিম বিশ্বের ব্যর্থতা। তবে বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রামে পাশে ছিল এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন যুগিয়ে আসছে। অথচ আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে গঠিত বিএনপি নামক দলটি ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে এখনো নিশ্চুপ রয়ে গেছে।

তিনি গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মুসাফিরখানা জামে মসজিদে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পূর্ব এক সভায় এ কথা বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় মানবতাবিরোধী গণহত্যা চললে বিশ্ববাসী জানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব এ অপকর্মের প্রত্যক্ষ সহযোগী ও ইন্ধনদাতা। এ বিদেশি অপশক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার সময়েও তাদেরকে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা করে মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধের কলঙ্কজনক কালো অধ্যায়ের রূপকার হিসেবে কলকাঠি নেড়েছে। বলতে লজ্জা লাগে এরা এখন মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য গলাবাজি করে। এমনকি তৃতীয় বিশ্বের অনেক স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও অবাঞ্চিত হস্তক্ষেপ করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত সৃষ্টি হলেও পরাশক্তির ভয়ে আমাদের দেশের ইসলাম প্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো রহস্যজনক নীরবতা পালন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির জন্য বিশ্বনেতাদের তাগিদ দিয়ে মানবাধিকারের প্রতি প্রাণভরা সমর্থন ও দরদ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, যারা জোর গলায় মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের ইন্ধন ও প্রশ্রয়ে সারাবিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এটা কথিত সভ্য দেশগুলোর ললাটে কলঙ্কের চিহ্ন হয়ে আছে। এই চিহ্ন মুছতে হলে তাদেরকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, উপপ্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আলম, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শামসুল আলম, মো. শাহাজাহান, আবুল হাশেম, রুহুল আমিন তপন, ইদ্রিস কাজেমী, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, নুরুল আজিম নুরু, আবদুল আজিম, সাইফুল আলম বাবু, শাহেদুল আজম শাকিল, ফারুক আহমেদ, মো. মহসিন, আবদুল মান্নান, ইকবাল হাসান, মো. ইব্রাহিম, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, দিলদার খান দিলু, মো. রিজুয়ান প্রমুখ। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মুসাফিরখানা মসজিদের পেশা ইমাম। বিজ্ঞপ্তি