প্রতীক পেয়ে মাঠে নামছেন ৫ প্রার্থী

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম-১০ আসনের আসন্ন নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিধি-নিষেধ মেনে নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে নামছেন প্রার্থীরা। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নগরের বাদুরতলার জঙ্গী শাহ মাজারে জিয়ারত শেষে নেমেছেন প্রচারণায়। অন্য প্রার্থীরা আজ (শুক্রবার) থেকে প্রচারণা শুরু করবেন বলে জানান।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান পাঁচজন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ দেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী দীপক কুমার পালিত ‘সোনালী আঁশ’, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশিদ মিয়া ‘ছড়ি’ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এছাড়া একাংশ ভোটারের সাক্ষরের অমিল থাকায় প্রার্থিতা বাতিল হলেও আপিলের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পান মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে লড়বেন রকেট প্রতীক নিয়ে।

উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনে মোট পাঁচজন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা যাবে না। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।’

নির্বাচনী প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি তেমন নেই। সাংগঠনিকভাবে এমনিতেই আমরা সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকি। আমরা ২৯ জন দলের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। আমার বিবেচনায় প্রত্যেকে যোগ্য ও শক্তিশালী। আমাদের নেত্রী যাকে যোগ্য মনে করেছেন তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রত্যেকে আমাদের দলের নেতাকর্মী। তারা আমার বন্ধু। ভোটের মাঠে অন্য দলের যারা আছেন তারা যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে জনগণের হৃদয়ে আমাদের দল অবস্থান করছে। তাই বিজয়ের বিশ্বাস আমাদের আছে।’

প্রচারণার মাঠে নামা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আজ থেকেই মাঠে নেমেছি। নির্বাচনে ভোটারদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে আমরা কাজ করছি। আজ (বৃহস্পতিবার) জঙ্গী শাহ মাজারে জিয়ারত শেষে আমরা প্রচারণা শুরু করেছি। আমার পাশাপাশি আমার ভাই-বন্ধুরাও প্রচারণা শুরু করেছেন।’

এ প্রসঙ্গে কথা হলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করব। আমরা চাই নির্বাচনে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়–ক। ইভিএম নিয়ে নানা বির্তক থাকায় ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালটে ভোট গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছি। আমরা চাই, মানুষ নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে এসে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করুক।’

প্রসঙ্গত, গত ২ জুন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাংসদ ডা. আফছারুল আমীন মারা যাওয়ায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর, ডবলমুরিং, খুলশী) আসনে ভোটগ্রহণ হবে। চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন ভোটার সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেবেন।