প্রতিমায় পড়ছে শেষ মুহুর্তের তুলির আঁচড় 

রাউজানে এবার ২শ ৩২ মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :

রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ২শ ৩২টি পুজা মন্ডপে সনাতন ধর্মীয় অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুরু হবে আগামী ২২ অক্টোবর থেকে। সনাতন ধর্মীয় অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে রাউজানের প্রতিটি এলাকার পুজা মন্ডপে ও রাউজান ফকিরহাট বাজারের পুবপাশে, রাউজান ফকির হাট কালী বাড়ি মন্দির, রাউজান পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের শরতের দোকান, রাউজান উনসত্তর পাড়া, রাউজানের নোয়াপাড়া পথেরহাট এলাকায় মৃৎশিল্পীরা শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। রাউজানে সনাতন ধর্মীয় অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাউজানের শপিং মল ,মার্কেটে সনাতন ধর্মীয় অনুসারী নারী, পুরুষ, কিশোর, কিশোরী, ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পোষাক, প্রসাধনী সামগ্রী কেনাকাটায় মেতে উঠেছেন। এবছর করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও উৎসুক জনতার ভিড় কমিয়ে দুর্গোৎসব পালন করবে বলে জানান রাউজান  উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চিকদাইর ইউনিয়নের চেয়্রাম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী। রাউজান উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন দে বলেন, রাউজানে ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ২শ ৩২ টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে। পুজা চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজার আনুষ্ঠানিকতা করা হবে। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, সনাতন ধর্মীয় অনুসারীদের শারদীয় দুর্গোৎসবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পুলিশ, আনসার, সদস্য নিয়োজিত থাকবে। আগামী ১৯ অক্টোবর সকালে রাউজান উপজেলা পরিষদ হলে পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাউজান থানার ওসিকে নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়েছে।

রাউজান ফকিরহাট বাজারের পুর্ব পাশে প্রতিমা তৈরির কারিগর মৃৎশিল্পী নান্টু পাল বলেন, ২৬টি পুজামন্ডপের জন্য ২৬টি  প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়ে তার লোকজন নিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। প্রতিটি প্রতিমা ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে প্রতিমা তৈরি করছেন।