নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

মতবিনিময় সভায় মেয়র

সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে বীর মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং সুদূর স্বাধীনতা সংগ্রামের যে গৌরবগাথা আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে তা ইতিহাস আকারে তুলে ধরে আগামী প্রজন্মকে ইতিহাস সম্পর্কে ঋদ্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে পতেঙ্গা বে-টার্মিনালের পাশে প্রস্তাবিত ওশান পার্কে একটি স্মৃতিসৌধসহ মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি গতকাল বিকেলে টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ডের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তুলব, যেখানে সব মানুষের উন্নয়ন হবে। বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী আগে মানুষকে খাবার উপহার দিতেন, এখন তিনি গৃহহীনকে ঘর উপহার দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ফলে এদেশে শুধু মুক্তিযোদ্ধা নয়, কোন মানুষই গৃহহীন হয়ে থাকবে না।
মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ডেপুটি কমান্ডার মো. শহীদুল আলম চৌধুরী সৈয়দ, থানা কমান্ডারদের পক্ষে আকবরশাহ্ থানার মো. নুর উদ্দিন, প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের পক্ষে অধ্যক্ষ মো. শামশুদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা মো. কায়কোবাদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পক্ষে চবি প্রভাষক ড. ওমর ফারুক রাসেল। এতে স্মারকলিপি পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সদস্য সরওয়ার আলম মণি।
মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্র পাঠ করিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সেই বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে যারা এদেশে রাজনীতি করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করা প্রয়োজন। জিয়াউর রহমানের হাত ধরে পুর্নবাসিত স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতির ধারায় জাতির পিতাকে অস্বীকার করা হয়। এ ধারা যেন আর ফিরে আসতে না পারে এ জন্য মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মদের অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় ভূমিকা রাখতে হবে। বিজ্ঞপ্তি