নগরে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

বিএমএ চট্টগ্রামের ২৪ ঘণ্টার কর্মসূচি । রোগীদের ভোগান্তি

ডেস্ক রিপোর্ট »

মঙ্গলবার (এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএর চট্টগ্রাম শাখা।

দুই চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি। মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগ নির্ণয় সেবা বন্ধ রয়েছে। তাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।

চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত চেম্বারেও সেবা দেওয়া বন্ধ রেখেছেন। তবে চিকিৎসকরা তাদের ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ রাখলেও সরকারি হাসপাতালে সেবা দিচ্ছেন।

চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেখানোর জন্য সচরাচর সকালে কিংবা আগের দিন সিরিয়াল দিতে হয়। তাদের অনেকের ফোন নম্বরগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আবার অনেক চিকিৎসক মঙ্গলবার চেম্বার করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাইভেট হাসপাতালে সকাল থেকে নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু যারা আগে থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছে, তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৭ এপ্রিল বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতি, বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতিসহ অন্যান্য চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ‘মেডিকেল সেন্টারে’ এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রিয়াজ উদ্দিন শিবলু নামে চিকিৎসককে এবং ১০ এপ্রিল রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রক্তিম দাশের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।

দোষীদের বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম জেলার সব প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে ২০ এপ্রিল দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পটিয়া ও চট্টগ্রাম নগরীতে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেখানোর জন্য সচরাচর সকালে কিংবা আগের দিন সিরিয়াল দিতে হয়। তাদের অনেকের ফোন নম্বরগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আবার অনেক চিকিৎসক মঙ্গলবার চেম্বার করবেন না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই চলছে। তবে চাপ বেড়েছে আউটডোর এবং ল্যাবে।