দীর্ঘমেয়াদে পানি আসবে মেঘনা থেকে

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, ২০৩০ পর্যন্ত ব্যবস্থা করবে বেজা

নিজস্ব প্রতিবেদক »
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে দীর্ঘমেয়াদে পানি আসবে মেঘনা থেকে। কিন্তু মেঘনার চাঁদপুর পয়েন্ট থেকে পানি সংগ্রহ করে পরিশোধনের মাধ্যমে পাইপ লাইনে মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে পানি আনা সময়সাপেক্ষ। আগামী ১০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে মেঘনা থেকে পানি আনার কাজ। কিন্তু এই মধ্যবর্তী সময়ে পানির চাহিদা পূরণ করবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এজন্য আশপাশের নদী, বৃষ্টির পানি কিংবা ভূ-গর্ভস্থ পানির মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করতে হবে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোয়াজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে প্রয়োজনীয় পানির সম্ভাব্য উৎস শনাক্তকরণের লক্ষ্যে’ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বেজা, পানি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বেপজা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে সভায় কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে আইডব্লিউএম’র নির্বাহী পরিচালক আবু সালেহ খান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আগামী ১০ বছরের জন্য পানির ব্যবস্থা করবে বেজা। এক্ষেত্রে ফেনী নদী, মুহুরী নদী কিংবা আশপাশের ছোটো নদী নদী থেকে প্রকল্প নেয়া যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এই সময়ের মধ্যে চাঁদপুরের মেঘনা থেকে পানি উত্তোলন করা এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে মিরসরাইতে নিয়ে আসার কাজও করা হবে।
সভায় উপস্থিত থাকা চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে ফজলুল্লাহ বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পানির সমস্যা সমাধানে মেঘনার বিকল্প নেই। তবে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সময় লাগবে। তাই ২০৩০ সাল পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়টিতে কোনো রকমে চালিয়ে যেতে হবে। আর এই কাজটি করবে বেজা।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সোনাগাজীর চরাঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার একর ভূমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। ইতোমধ্যে সেখানে কিছু শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে এবং বাকি এলাকায় কারখানা স্থাপনের কাজ চলছে। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রায় ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এই শিল্পনগরে। কিন্তু পানির চাহিদা থাকলেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। হালদা নদী থেকে পানি নেয়ার কথা থাকলেও পরিবেশবাদীদের চাপের মুখে সেই অনস্থান থেকে সরে আসতে হয়েছে। তাই বিকল্প পানির উৎস খুঁজছে ওয়াসা। বেজায় প্রাথমিকভাবে দিনে ২০ কোটি লিটার পানির প্রয়োজন। কিন্তু ২০৪০ সাল নাগাদ প্রায় ৪০ লাখ লিটার পানি পানির প্রয়োজন হবে। বিশাল এই পানির সংস্থান করতে অবশ্যই ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির প্রকল্প ছাড়া সম্ভব নয়।