ত্রিশ হাজার বাঙালির খুনের বিচার দাবি

রাঙামাটিতে পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবসের সভা-সুপ্রভাত

পাকুয়াখালী গণহত্যার শোকসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাঙামাটি
‘পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া ৩০ হাজার বাঙালির খুনের বিচার না হওয়ার কারণেই আজো পার্বত্য জনপদে অশান্তি বিরাজ করছে,চাঁদাবাজদের হাতে বিপন্ন মানুষের জীবন,এখনো পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি বরং শান্তিবাহিনী বিলুপ্ত হলেও সেই সশস্ত্র সদস্যরাই নতুন নতুন সংগঠন খুলে চারটি পৃথক ধারায় বিভক্ত হয়ে পাহাড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।’পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবস’র স্মরণ উপলক্ষে রাঙামাটিতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন বক্তারা। গত বুধবার সকালে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভা কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যেগে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি সাব্বির আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রেীয় কমিটির মহাসচিব আলমগীর কবির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক প্রমুখ।শোকসভায় বক্তরা বলেন, ১৯৯৬ সালে ৯ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে তৎকালীন শান্তিবাহিনী মিটিং এর মিথ্যা আশ^াস দিয়ে ডেকে নিয়ে ৩৫ জন বাঙালি কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই নৃশংসতম গণহত্যার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও আজো সেই তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ তো দেখেই নি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন করা কথা থাকলেও কোন সরকার তাদের খবরও রাখে নি। গত ২৪ বছর পরও পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে বক্তরা আরো বলেন, পাহাড়ে যতদিন অবৈধ অস্ত্র থাকবে, ততদিন এখানে পাহাড়ি বাঙালি কেউ নিরাপদ নয়। পাহাড় থেকে দ্রুত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের আহ্বান জানানো হয়।এসময় তারা আরো বলেন-‘পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই পাকুয়াখালী গণহত্যাসহ পাহাড়ে সকল বাঙালি গণহত্যাকান্ডের তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন। অন্যথায় পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা কোনোদিনই সফল হবে না। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও সম্প্রীতি রক্ষায় সশস্ত্র অবৈধ অস্ত্রধারী ও দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহত্যার দায়ে খুনি সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাসহ তাদের সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ৯ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে ৩৫ কাঠুরিয়াদের তৎকালীন শান্তিবাহিনী মিটিং এর মিথ্যা আশ^াস দিয়ে ডেকে নিয়ে ৩৫ জন বাঙালি কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।