জলাবদ্ধতা ও স্বাস্থ্যসেবা অগ্রাধিকার দেবেন রেজাউল

কে হবেন নগরপিতা? চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন ইতিমধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। ইশতেহার, প্রচারণা, নির্বাচন পরবর্তী কাজের অগ্রাধিকার এবং নগর নিয়ে ভাবনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুপ্রভাতের প্রধান প্রতিবেদক ভূঁইয়া নজরুল কথা বলেন দুই প্রধান প্রার্থীর সাথে।

সুপ্রভাত বাংলাদেশ : এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে জলাবদ্ধতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। অতীতের মেয়রদের এ সমস্যা ছিল, কিন্তু সমাধান হয়নি। আপনি কি পারবেন বলে মনে করছেন?
রেজাউল করিম চৌধুরী : অবশ্যই পারব। না পারার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আর তা বাস্তবায়ন শেষেই চট্টগ্রামবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।
সুপ্রভাত : জলাবদ্ধতা প্রকল্পে ৪০টি রেগুলেটর রয়েছে। এই রেগুলেটর সঠিকভাবে মেইনটেনেন্স না করা হলে তা অকেজো হয়ে জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ আরো বাড়াতে পারে। তা নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি হবে?
রেজাউল : এটা সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল বিষয়। এমন হলে এ বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তাদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুপ্রভাত : আপনার নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েছেন। এই ভাবনা কিভাবে এলো?
রেজাউল : পরিবেশ ছাড়া এই নগর বসবাসযোগ্য হবে না। পাহাড় কাটা বন্ধ করা, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখা কিংবা সবুজ নগরীকে বাঁচিয়ে রাখাই হবে অন্যতম কাজ। আমি চেষ্টা করবো নগর পরিবেশ বাসযোগ্য রাখতে। অন্যথায় আগামী প্রজন্ম এর ফল ভোগ করবে।
সুপ্রভাত : বিগত মেয়রের সময় পৌরকর ছিল একটি অন্যতম ইস্যু। এই ইস্যুকে আপনি কিভাবে মোকাবেলা করবেন?
রেজাউল : পৌরকর যথানিয়মে হবে। তবে এতে কিভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিদা নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে কাজ করা হবে। একইসাথে কোনো সমস্যা হলে এ বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তাদের সাথে পরামর্শ করে সমাধান করা হবে।
সুপ্রভাত : কর্পোরেশনে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি অনেক বেশি। নির্বাচিত হলে তা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
রেজাউল : নির্বাচিত হলে সব নিয়ন্ত্রণ করবো।
সুপ্রভাত : নগরীর উন্নয়নে অন্যতম সমস্যা সেবা সংস্থার সাথে সমন্বয়হীনতা। এটা কিভাবে দূর করবেন?
রেজাউল : আগেরকার সময়ে যারা দায়িত্বে ছিল, তারা তাদের কৌশল দিয়ে সমন্বয়ের চেষ্টা করেছেন। আমি আমার কৌশল দিয়ে চেষ্টা করবো। অবশ্যই সমন্বয়ের মাধ্যমে নগরীর উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
সুপ্রভাত : আপনি যদি নির্বাচিত হন তাহলে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা দেনা নিয়ে দায়িত্বে বসতে হবে। এই দেনা নিয়ে আপনার ভাবনা কি?
রেজাউল : দেনা তো কোনো বিষয় নয়। এটা সিটি কর্পোরেশনের একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই তা শোধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেয়া হবে।
সুপ্রভাত : নির্বাচিত হলে কোন কাজটি অগ্রাধিকার দেবেন?
রেজাউল : অবশ্যই জলাবদ্ধতা ও স্বাস্থ্যসেবা। নগরীতে এই দুটি নিয়ে মানুষ দুর্ভোগে আছে।
সুপ্রভাত : ভোটাররা কেন আপনাকে ভোট দেবে?
রেজাউল : করোনাকালে আমি মানুষের সেবা করেছি, তাদের পাশে ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের সেবা করে আসছি। আর আমাকে ভোট দিলে চট্টগ্রামের উন্নয়নে ধারা অব্যাহত থাকবে।
সুপ্রভাত : আপনার প্রধান প্রতিযোগী বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ তারা নির্বাচনে সমান সুযোগ পাচ্ছে না। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?
রেজাউল : তারা সবসময় অভিযোগ করে আসছে। মামলার আসামি হলে পুলিশ তো তাদের গ্রেফতার করবেই। তাদের অভিযোগের শেষ নেই।