বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলের সাথে মেয়রের সাক্ষাৎ
‘চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী ও ব্যবসাবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তা কখনো ব্যক্তিক বা একক উদ্যোগে সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা। চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যে অবস্থান বা সংগঠনগত কাঠামোতে থাকিনা কেন সকলকে একই সূত্রে সোচ্চার হতে হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী চসিক ভবনে তার দফতরে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের অবস্থান পাল্টে যাবে এবং এর ইতিবাচক সুফল জাতীয় বা আঞ্চলিক পর্যায়েই শুধু নয় বৈশ্বিক স্তরে ও বিস্তৃত হওয়ার অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। এই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সম্পদ অর্জনের পরিধি বৃদ্ধিসহ শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তর সবচেয়ে বেশী প্রাসঙ্গিক পূর্বশর্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এম এ সালাম বলেন, বাংলাদেশ মানে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম ঘুরে দাঁড়ালে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। চট্টগ্রামে সরকারের মেগা প্রকল্প- বিশেষ করে কর্ণফুলীর নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল, বেটার্মিনাল ও গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়ন হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বৈশ্বিক গুরুত্ব পাবে। গভীর সমুদ্র বন্দর একটি বহুমাত্রিক আন্তর্জাতিক টার্মিনালে রূপান্তরিত হবে। চট্টগ্রাম শুধুমাত্র রিজিওনাল কানেক্টিভিটি নয়, ভারত-নেপাল-ভুটান-মিয়ানমার-নাওস-চীন পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটির যোগসূত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। ফুলগাজী-মিরসরাই-সীতাকুন্ডে উপকূলবর্তী দেশের বৃহত্তম শিল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে অচিরেই গড়ে উঠতে যাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামে চীন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজ গড়ে তুলতে চায়। এই সম্ভাবনার আলোকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সক্ষমতার পরিধি বিস্তার খুবই জরুরি। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এএম চৌধুরী সেলিম, সহ-সভাপতি অঞ্জন শেখর দাশ, পরিচালক মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী এবং প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ এবং উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ড. নেছার আহমেদ মঞ্জু, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক। বিজ্ঞপ্তি
