মননশীলতা বৃদ্ধির জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই

শেঠ প্রপার্টিজের বই বিনিময় উৎসব

ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ আয়োজিত বই বিনিময় উৎসব গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর জামালখান মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সকাল ১১টায় উদ্বোধন করেন জাতীয় পার্টি নগর কমিটির সভাপতি শেঠ প্রপার্টিজ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সোলায়মান আলম শেঠ।
বই বিনিময় উৎসবের বিশেষ অতিথি ছিলেন ২১ নম্বর জামাল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এবং শেঠ গ্রুপ এর হেড অব এইচ আর বাসুদেব রুদ্র।
উদ্বোধক এবং প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, সব সময় চাই মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যাক, দেশের হাল ধরুক তরুণ প্রজন্ম। তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। বই মানুষকে জ্ঞানী ও মননশীল হতে সাহায্য করে, বইয়ের কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ফেইসবুক আসার কারণে তরুণদের মধ্যে বইপড়ার প্রবণতা কমেছে। তরুণ প্রজন্মকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বই পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার জন্য উৎসাহিত করেন।
সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, আমরা সবসময় ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের সাথে থাকতে চাই। শেঠ প্রপার্টিজ এবং ব্যক্তিগতভাবে অতীতে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান আর্থিক সহযোগিতা করেছি।
তিনি বলেন, তরুণরা যাতে মাদকের কবল থেকে দূরে থাকে, নেশাকে যাতে না বলে সে বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ৪১টি ওয়ার্ডের বই বিনিময় উৎসব ও মাদককে না বলুন শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন করলে তিনি পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, তরুণদের মননশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই সবাইকে বই পড়ার জন্য উৎসাহিত করেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য শেঠ প্রপার্টিজ কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথি বাসুদেব রুদ্র বলেন, বই বিনিময় উৎসবে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। তরুণরা বই পড়ে মননশীল জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ’র পরিচালক সাইদ খান সাগর।
ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ’র পরিচালক সাইদ খান সাগর বলেন, বিশ্বাস করি বই মানুষকে মননশীল জাতি গড়তে সহায়তা করবে। করোনার কারণে এবছর একুশে বই মেলা করতে দেরী হচ্ছে, তবে বই মেলায় মানুষ টাকা দিয়ে বই কিনে, আমাদের এই ভিন্নধর্মী বই বিনিময় উৎসবে একজন ব্যক্তির তার আগের পড়া বই রেখে একই ক্যাটাগরির বই তিনি আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যেতে পারবেন। যেমন কেউ যদি গল্পের বই নিয়ে আসেন তিনি তার গল্পের বই রেখে দিয়ে আমাদের সংগ্রহকৃত বই থেকে অন্য একটি গল্পের বই বিনামূল্যে নিয়ে যেতে পারবেন। যার কারণে বলছি বই নয়, জ্ঞানের বিনিময় ঘটাচ্ছি।
বই বিনিময় উৎসবটি ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শুরু হয়ে রাত ৮টায় শেষ হয়। বই বিনিময় উৎসবটির পুরো অনুষ্ঠানটি নিবেদন করেছেন চট্টগ্রামের অন্যতম আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান শেঠ প্রপার্টিজ লিমিটেড। বিজ্ঞপ্তি