চট্টগ্রামে চলতি বছর প্রাণ গেলো ৬ জনের

চব্বিশ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১১ জন আক্রান্ত

সীতাকুণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চট্টগ্রামেও পিছিয়ে নেই। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১ জন। এছাড়া গত চব্বিশ ঘণ্টায় নগরে ১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও চলতি বছর সর্বমোট ৬ জন মারা গেছেন।

গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন আদনান (৭ মাস), শারমিন আক্তকার (১৫), আবু জাফর (৪৩), সাকিবুল হাসান (১৬), সেলিনা খাতুন (৫৮) এবং নূর চৌধুরী (৭০)। এছাড়া গত চব্বিশ ঘণ্টায় মোট ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে জানুয়ারিতে ৫৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১১ জন, মার্চ ৭ জন, এপ্রিলে ১৩ জন , মে ১৫ জন এবং জুনে ৮১ সহ মোট ২৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

উপজেলায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৯৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।  তার মধ্যে  লোহাগাড়ায় ২ জন, সাতকানিয়ায় ৫ জন , বাঁশখালী ৭, আনোয়ারায় ৬, চন্দনাইশ ১,  পটিয়ায় ৪ , বোয়ালখালী ১,  রাঙ্গুনিয়ায় ২, রাউজান ৪, হাটহাজারী ৪, সীতাকুণ্ডে ৪৯, মিরসরাই ৫, সন্দীপে ৩ ও কর্ণফুলীতে ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহমা¥দ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, উপজেলার মধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলায় বেশি আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র রাখা হয়েছে। শুধু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা না, জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির ছাদ, টব, টায়ারে যেন পানি না জমে তার জন্য সজাগ থাকতে হবে। পানি জমলেই তা ফেলতে হবে। বাড়ির ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে হবে। সকাল- দুপুর ঘুমানোর সময় মশারি টাঙাতে হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চসিকের স্বাস্থ্য প্রধান ডা. সেলিম আক্তারকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।

এ দিকে শহর জুড়ে মশার উপদ্রপ কমার লক্ষণ নেই। বৃষ্টি বাড়ায় মশা আরও বাড়ছে।

চকবাজার এলাকার বাসিন্দা রেলি চাকমা বলেন, ‘মশা তো সারা বছর ছিলো। ৬ তলায় থাকি, এখানেও মশার যন্ত্রণায় থাকা যায় না। সন্ধ্যার পর জানলা বন্ধ না করলে পুরো ঘর মশায় ভরে যায়। আমাদের এলাকায় মশা মারতে এখনো স্প্রে করতে দেখিনি।’

মশা নিধন প্রসঙ্গে চসিকের পরিচ্ছন্ন প্রধান কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, মশা নিধনে আমাদের কার্যক্রম থেমে নেই। ৪ জুন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানো হয়। ২১ জুন চমেক হাসপাতালের এলাকাগুলোতে এই প্রোগ্রাম চলবে। তিনি বলেন, বৃষ্টির সময় সব জায়গায় মশার উপদ্রপ বাড়ে। পানি জমিয়ে না রাখা, বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করতে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।