কলেজের গণ্ডি পার হননি তারা

সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »

বলিউডের কিছু তারকা ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের হৃদয় দুটোই দখল করেছেন সমানতালে। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বি-টাউনের সর্বোচ্চ আয় করা এসব তারকাদের কেউ কেউ স্কুল শেষ করলেও কলেজে পা ফেলেননি, কেউ কেউ ফেললেও প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার পাঠ সেখানেই চুকে যায়! তুলে ধরা হলো তাদের ক’জনের কথা-
কাজল
সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুলের পড়া শেষ করেন। ১৭ বছর বয়সেই আসেন সিনেমা জগতে। তাই ঠিকমতো আর কলেজে পড়াই হয়নি।
আলিয়া ভাট
মুম্বাইয়ের জামনাবাই নার্সি স্কুল থেকে পাস করেই চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু আলিয়া ভাটের। কলেজে ভর্তি না হয়ে ২০১২ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমায় অভিষেক হয় তার। যে কারণে হাইস্কুলের পর আর পড়াই হয়নি আলিয়ার।
দীপিকা পাড়ুকোন
দীপিকা তার নিজের শহরের মাউন্ট কারমেল হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকে ভর্তি হন। কিন্তু মডেলিং ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে মাঝপথে ছেড়ে দেন স্নাতকের পড়া।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড হতে চেয়েছিলেন মনোবিজ্ঞানী। বেরালির আর্মি পাবলিক স্কুল থেকে প্রাথমিকের পড়া শেষ করেন। পরে মুম্বাইয়ের জয় হিন্দ কলেজে ভর্তি হলেও মডেলিং ক্যারিয়ারের জন্য কলেজ ছেড়ে দেন। কারণ ভাগ্য তার জন্য অন্য কিছুই পরিকল্পনা করেছিল।
কঙ্গনা রনৌত
চণ্ডিগড়ের ডিএভি থেকে স্কুল পড়া শেষ করেন কঙ্গনা। হতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক। তবে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করে মন দেন মডেলিংয়ে। দিনে দিনে হয়ে গেলেন বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজন।
ক্যাটরিনা কাইফ
ক্যাটরিনার মা সামাজিক সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। প্রায়ই এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যেতে হতো। ক্যাটরিনাকে পড়তে হয়েছে গৃহশিক্ষকের কাছে। তবে অল্প বয়সে মডেলিং শুরু করায় কখনোই স্কুল শেষ করতে পারেননি।
কারিনা কাপুর
মুম্বাইয়ের জামনাবাই নার্সি স্কুল ও পরে ওয়েলহাম গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন কারিনা। মিঠাবাই কলেজে আইন নিয়ে পড়তে চাইলেও পরে মডেলিং করায় পড়ালেখা বাদ দিতে হয়।
ঐশ্বরিয়া রাই
মেডিসিন নিয়ে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও পরে মন পরিবর্তন করে রচনা সংসদ একাডেমি অব আর্কিটেকচারে ভর্তি হন। কিন্তু স্থপতি হওয়ার স্বপ্নটাও বাক্সে পুরে ক্যারিয়ার গড়েন মডেলিংয়ে।
সালমান খান
মুম্বাইয়ের সিন্ধিয়া, গোয়ালিয়র ও পরে স্ট্যানিস্লাউস হাইস্কুলে ভর্তি হন সালমান খান। মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজেও ভর্তি হন। তবে কলেজের পরই ইতি টানেন প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায়।
আমির খান
নরসি মঞ্জি কলেজ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাস করে পড়াশোনা বাদ দেন আমির। এর পরই একটি থিয়েটার কোম্পানিতে যোগ দেন ও অভিনয় শুরু করেন। চাচা নাসির হুসেনের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন কিছুদিন। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি আমিরকে।
অক্ষয় কুমার
মুম্বাইয়ের ডন বস্কো উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া শুরু করে গুরু নানক খালসা কলেজে ভর্তি হন। পরে শেফ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পড়া ছাড়েন। পাশাপাশি চলে মার্শাল আর্ট চর্চা। এরপরই শুরু হয় অভিনয়।
রণবীর কাপুর
দশম শ্রেণিতে ৫৪ শতাংশ নম্বর পাওয়ার পর রণবীর তার বাবা-মাকে জানিয়েছিল তিনি আর পড়তে চান না। অর্থাৎ রণবীর হাইস্কুলও শেষ করেননি। পরে অবশ্য তিনি নিউইয়র্কে চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর ডিগ্রি নিয়েছেন।
টাইগার শ্রফ
জুনিয়র শ্রফ আমেরিকান স্কুল অব বোম্বে থেকে স্কুল শেষ করেন। কলেজে পড়ার কোনও ইচ্ছেই নাকি ছিল না তার। তবে টেনেটুনে কলেজ পাস করেন। এর পরই শুরু করেন মডেলিং ও অভিনয়।
অর্জুন কাপুর
মুম্বাইয়ের আর্য বিদ্যা মন্দির স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন অর্জুন। কলেজের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় পড়াই ছেড়ে দেন।