কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত মিলনমেলায় পরিণত

প্রতিমা নিরঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে দূর্গা দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। করোনা সংকটের টানা দুই বছর পর এবারই বড় পরিসরে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করলেন সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ। নিরঞ্জন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে একে একে শতাধিক প্রতিমা অনুষ্ঠানস্থলে আনা হয়। দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্নস্থানের মানুষ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট অনুষ্ঠানস্থলে আসা শুরু করেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে হতে লাবণী পয়েন্ট কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। লোকে লোকারন্য হয় সমুদ্রসৈকত। এতে পর্যটকরা বাদ যায়নি। অনুষ্ঠান উপভোগে দর্শণার্থীসহ অনেক পর্যটককে দেখা গেছে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ জেলা ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, প্রশাসক মামুনর রশিদ, জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, বাবুল শর্মা, প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন।

প্রধান অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, যার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না, সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আমাদের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে দেশকে উন্নয়নের রোড মডেল এ রূপান্তরিত করেছেন। আমরা সেই দেশরতœ শেখ হাসিনা যাতে শত বছর আয়ু পায় এবং আমৃত্যু যাতে আমাদের সেবা দিয়ে যেতে পারেন সেই প্রার্থনাই করি। আমাদের দেশে এখনও অনেক পাকিস্তান প্রীতির মানুষ আছেন। পাকিস্তান আজ বিপর্যস্ত। তাই তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহ্য করতে পারেন না। এ জন্য সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে মিথ্যা অপবাদে রাজনীতির চর্চা করছেন। এদেশের মানুষ কখনো এই ধোঁকা মেনে নেবেন না। অনুষ্ঠান শেষে সাগরে একে একে সব প্রতিমা নিরঞ্জন দেয়া হয়।