কক্সবাজার দ্রুত সময়ে স্মার্ট সিটি হবে

কক্সবাজারে গতকাল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী-সুপ্রভাত

সাংবাদিকদের গণপূর্তমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজার যেন দ্রুত সময়ে সত্যিকার অর্থে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটন কেন্দ্র হয়, এ জন্য যা করা দরকার গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তাই করবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সব সংস্থার মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কক্সবাজারকে একটা উন্নত সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে, পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হিসেবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা সংস্থার সমন্বয় যাতে থাকে, সেটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যাতে কোনো সংস্থার কারণে অন্য কোনো সংস্থার কাজ বাধাগ্রস্ত না হয়।’
কক্সবাজারের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ‘মহাপরিকল্পনা তৈরির’ ওপর জোর দেয়া হচ্ছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বিচ ডেভেলপমেন্ট করা দরকার। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনাগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো পর্যালোচনা করে যেগুলো জরুরি ভিত্তিতে করা দরকার সেই কাজগুলো আমরা আগে করবো।’
উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ‘পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে সাজাতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মধ্যে রয়েছে সৈকত উন্নয়ন, ক্যাবল কার, ক্রুজ লাইন, সি প্লেন, থিম পার্ক, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ও আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ডসহ ৩০টির মতো প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কক্সবাজার পরিণত হবে স্মার্ট সিটিতে। এতে করে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটন কেন্দ্র হয়ে ওঠবে এটি।’
এসময় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মো. নুরুল আবছার বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে সাজাতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, যার মধ্যে রয়েছে সৈকত উন্নয়ন, ক্যাবল কার, ক্রুজ লাইন, সি প্লেন, থিম পার্ক, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ও আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ডসহ ৩০টির মতো প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কক্সবাজার পরিণত হবে স্মার্ট সিটিতে।
মন্ত্রী আজ শুক্রবার কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি পরিদর্শনে যাবেন।