এবার সাহেদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ৯১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
এবার আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে ৯১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে নগরের ডবলমুরিং থানায়। সোমবার বিকেলে ডবলমুরিং থানায় মেসার্স মেগা মোটরস নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. সাইফুদ্দিন নামে চট্টগ্রামের এক ব্যক্তি ওই মামলাটি করেছেন। দ-বিধির ৪৬৮, ৪৭১, ৪০৬, ৪২০ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়। বিষয়টি সুপ্রভাতকে নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ। মামলায় সাহেদ করিম ছাড়াও মেসার্স মেগা মোটরস এর সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহকে(৬০) আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ঢাকার রুটে থ্রি-হুইলার যানবাহন চলাচলের জন্য বিআরটিএ’র ভুয়া ‘রুট পারমিট’ সরবরাহ করেছেন। বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ৯১ লাখ টাকা।
মামলার বাদি মেগা মোটরস এর কাযক্রম দেখভালকারী সাইফুদ্দিন পুলিশকে জানান, মামলার অন্যতম আসামি শহীদুল্লাহ ঢাকায় মেগা মোটরসে কর্মরত ছিলেন। তার মাধ্যমে সাহেদ করিমের সাথে পরিচয় হয় বাদির।
‘আমাদের কাছে প্রতারক সাহেদ নিজেকে কখনও প্রধানমন্ত্রীর এপিএস, কখনও মন্ত্রী-এমপিদের ঘনিষ্ঠ, কখনও লে. কর্নেল পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। আমাদের প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার গাড়ি ঢাকার রাস্তায় চলাচলের জন্য বিআরটিএ থেকে ‘রুট পারমিট’ এনে দিতে পারবেন বলে জানান। আমরা সাহেদের কথায় বিশ্বাস করি।’ বলেন মামলার বাদি সাইফুদ্দিন।
মামলার এজাহারে বাদি অভিযোগ করেন, রুট পারমিটের জন্য সাহেদ তার প্রতিষ্ঠান ‘রিজেন্ট কেটিএস লিমিটেডের প্রিমিয়ার ব্যাংকের হিসাব নম্বরে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ৭ মার্চের মধ্যে মোট ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাঠানো হয়। একই সময়ের মধ্যে নগদে আরও ৩২ লাখ টাকাসহ মোট ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নেয় সাহেদ করিম।’
বাদি দাবি করে বলেন, ‘২০১৭ সালের ৫ মার্চ তারিখে থ্রি-হুইলার যান ঢাকার রাস্তায় চলাচলের জন্য বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সই করা একটি পরিপত্র মেগা মোটরসকে হস্তান্তর করা করলেও বিআরটিএ অফিসে যোগাযোগ করে তারা জানতে পারেন সেই রুট পারমিট ছিল ভুয়া। তার প্রতারণায় সহযোগিতা করেছেন মেগা মোটরসের সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ। বিষয়টি ধরা পড়লে শহীদুল্লাহকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু সাহেদ করিমের সামাজিক অবস্থানের কথা ভেবে আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে ভয় পাচ্ছিলাম।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের প্রমাণ পাওয়ার পর র‌্যাব গত ৬ থেকে ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেয়। অভিযানের পর রিজেন্টের মালিক মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে আসতে শুরু করে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।