উভয় দেশের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে বিশাল সম্ভাবনা

বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি, রামগড় »

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে বারৈয়ারহাট- হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।

গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এর উদ্যেগে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বাস্তবায়নে ঢাকার তেজগাঁও সড়ক ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রামগড় স্থলবন্দর স্থলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে সড়ক প্রশস্তকরণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাই-ফটিকছড়ি ও খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ৩৮ কিলোমিটার। বর্তমান ৫.৫০ মিটারের সড়কটি বৃদ্ধি করে ১১.৩০ মিটারে উন্নতি করা হবে। এতে থাকবে ২৪৯.২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৯টি ব্রিজ ও ১০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৩টি সেতু। এ প্রকল্পের ব্যয় ১১০৭.১২ কোটি টাকা, যার মধ্যে ভারতীয় স্টেট ক্রেডিটের আওতায় অর্থাৎ ভারত সরকার ঋণ হিসাবে দিচ্ছে ৫৯৪.০৭ কোটি টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে কাজটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অশোকা বিল্ডকন লিমিটেডকে সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ভিডিও কনফারেন্সে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রকল্পটি প্রতিবেশি দেশ ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সাব্রুম (ত্রিপুরা) রামগড় (খাগড়াছড়ি) স্থল বন্দর উভয় দেশের ব্যবসায়িক কর্মকা-ে বিশাল সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে। প্রস্তাবিত সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের মিরসরাই এর বারৈয়ারহাট হতে শুরু হয়ে খাগড়াছড়ির রামগড়ে শেষ হয়েছে। রামগড় স্থলবন্দরটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর হতে মাত্র ১০৮ কিলোমিটার ও রাজধানী ঢাকা হতে ২০৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সুতরাং এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও ঢাকার সাথে সাক্রম (ত্রিপুরা) রামগড় (খাগড়াছড়ি) স্থলবন্দর এর সংযোগ স্থাপন হবে এবং এর মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক সমৃদ্ধি বেগবান হবে। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সাথে চট্টগ্রাম বিভাগসহ সারাদেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। খাগড়াছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, পর্যটন শিল্পের বিকাশে এই সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানানো হয়।

এ সময় সড়ক বিভাগের আয়োজনে রামগড় স্থলবন্দর স্থলে স্থাপিত ভিডিও কনফারেন্স স্থলে প্রকল্পের ভিক্তিপ্রস্থর স্থাপন কাজের উদ্বোধনে অংশ নেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার নাইমুল হক, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব, রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন, পৌর মেয়র রফিকুল আলম সহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাসহ সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা।